গোয়ার ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৪টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতর থেকে এই নাম ঘোষণা করা হয়। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোয়ায় বিজেপির পর্যবেক্ষক দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। আর সেখানেই বিজেপি নেতার তোপের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলকে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে ফড়নবীশ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় স্যুটকেস নিয়ে এসেছিল দল বাড়াতে।’
ফড়নবীশ এদিন ঘাসফুল শিবিরকে তোপ দেগে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় স্যুটকেস নিয়ে এসেছে। এভাবেই গোয়ায় দলকে প্রসারিত করার চেষ্টা করেছে। যেন গোয়া একটি বাজার এবং সেখানকার নেতাদের এই বাজারে কিনতে এসেছে তৃণমূল। তৃণমূল আসার পর গোয়ায় যে ধরনের রাজনীতি করেছে, গোয়া ইতিমধ্যেই সেই রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে।’ উল্লেখ্য, গোয়ায় তৃণমূল নতুন করে পা রাখার পর থেকেই বিভিন্ন দল থেকে নেতা ভাঙিয়ে দল ভারী করেছে। সবথেকে বেশি কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। যদিও আখেড়ে তাতে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে সুবিধা হয়েছে বিজেপিরই। তা সত্ত্বেও তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে বকলমে কংগ্রেসকেও হেয় করলেন বিজেপি নেতা। বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেস একা বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী নয় গোয়ায়।
এদিকে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানান, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের ছেলেকে পানাজি থেকে টিকিট দেওয়া হয়নি। উত্পল পর্রীকর এর আগে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে দাবি করেছিলেন যে পানাজির বর্তমান বিধায়ক আতানাসিও মনসেরা একজন অপরাধী। তবে পর্রীকর জুনিয়রের আপত্তি সত্ত্বেও পানাজি আশন থেকেই আতানাসিওকেই টিকিট দেওয়া হল। এই পরিস্থিতিতে ফড়নবীশ জানান, মনোহর পুত্রকে অন্য আসন থেকে লড়াই করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে উত্পলের সঙ্গে আলোচনা জারি রয়েছে। ফড়নবীশ আশা প্রকাশ করেন যে শীঘ্রই সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে। মনোহর পর্রীকর এই পানাজি আসন থেকেই বিগত ২৫ বছর ধরে নির্বাচনে লড়ে এসেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে উপনির্বাচনে লড়ে জেতেন বিজেপির আতানাসিও। তবে বাবার ইসন থেকেই লড়তে মরিয়া ছিলেন উত্পল। এই পরিস্থিতিতে পানাজি থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে উত্পল লড়েন কিনা, সেদিকে নজর সবার। আবার আম আদমি পার্টিতেও তাঁর যোগদানের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই আবহে উত্পলকে নিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই আছে বিজেপি।