মন্দিরের ভিতরে রয়েছে একটি হাতির আদলের মূর্তি। সেখান দিয়ে বের হচ্ছিল জল। টুপটাপ করে পড়ছিল জলবিন্দু। আর সেই জলবিন্দু পান করতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে। তাঁরা ওই জলকে ‘চরণামৃত’ ভেবে বসেন। আর তা পান করেন। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সামনে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, হাতির আদলের কারুকার্যের মধ্য থেকে যে জল বেরিয়ে আসছিল, তা আসলে এসির জল। এসি থেকে নির্গত হওয়া জল পান করতেই ওই হইচই। ঘটনা মথুরার বাঁকে বিহারী মন্দিরের।
মথুরার বাঁকে বিহারী মন্দিরের নাম জগৎ জোড়া। বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে উত্তর প্রদেশের এই মন্দিরে অগণিত মানুষের ভিড় হয়। সদ্য মন্দিরের অন্দরের একটা ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মন্দিরের ওই অংশে হাতির আদলের কারুকার্যের থেকে পড়া জলের বিন্দু কোনও ভক্ত কাগজের কাপে সংগ্রহ করছেন, কেউ আবার হাতের তালুতে নিয়েই মুখে নিয়ে নিচ্ছেন। এই জল পেয়ে তাঁরা বেশ খুশি। তাঁরা মনে করছেন এই দল আসলে পবিত্র চরণামৃত। যা সেই জায়গা দিয়ে এসে পড়ছে। এদিকে, ‘জাগরণ’ এর একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই জল এসির থেকে আসছে। হাতির মুখের আদলের ওই কারুকার্যের পাইপ দিয়ে ওই জল বের হচ্ছিল। রিপোর্ট দাবি করছে, যা ভক্তরা 'চরণামৃত' বলে মনে করছেন, তা আসলে এসির থেকে আসা জল। যা পানযোগ্য নয়।
এদিকে, দেখা যাচ্ছে, যে ব্যক্তি এই ভিডিয়োর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করছিলেন, তিনি ভক্তদের বলছিলেন যে এই জল এসির থেকে আসছে। এইভাবে সতর্ক করা সত্ত্বেও দেখা গেল, বহু ভক্তই ওই জল পান করতে এগিয়ে যান। ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে আসতেই তা নিয়ে বেশ শোরগোল তৈরি হয়। ব্যাপক আলোচনা হয় এই ইস্যুতে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, কেউ একবার কেন ভেবে দেখলেন না? এক লিভার বিষয়ক চিকিৎসক সতর্ক বার্তা দিয়ে জানান, এসি থেকে পড়া জল বিভিন্ন রকমের সংক্রমণকে জন্ম দিতে পারে। ফাঙ্গাস সহ নানান সংক্রমণ বাসা বাঁধতে পারে এর ফলে।