বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার কারণে, কোনও যাত্রীর উড়ান বাতিল করা যাবে না। যাত্রী পরিবাহী বিমান সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে এমনই নির্দেশ দিল ডিজিসিএ।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, কোনও যাত্রীর যদি স্বাস্থ্যের অবনতি হয়, সেক্ষেত্রে একজন চিকিত্সককে দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে।
ডিজিসিএ যা জানিয়েছে
অক্ষমতা/ কম চলাফেরার কারণ দেখিয়ে কোনও ব্যক্তির উড়ান প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। তবে এয়ারলাইন যদি মনে করে যে, কোনও যাত্রীর মাঝ উড়ানে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে, তাঁকে একজন চিকিত্সকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। তিনি তাঁর মতামতে সুস্পষ্টভাবে চিকিৎসার অবস্থা এবং যাত্রী ওড়ার উপযুক্ত কিনা তা ব্যাখ্যা করবেন। সেই ভিত্তিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রাসঙ্গিকতা
সম্প্রতি ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের কর্মীরা বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন এক কিশোরকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে রাঁচি বিমানবন্দরে বিমানে উঠতে বাধা দিয়েছিলেন। ঘটনাটি একজন সহযাত্রী ফেসবুকে শেয়ার করেন। এটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোড়ন তৈরি হয়।
ফেসবুক পোস্ট
'ইন্ডিগোর কর্মীরা জানিয়ে দেন যে, ওই কিশোরকে ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হবে না। সে নাকি অন্য যাত্রীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিমানে ওঠার যোগ্য হওয়ার আগে তাকে 'স্বাভাবিক' হতে হবে। এই বলে স্টাফরা চলে গেল,' পোস্টে জানান এক প্রত্যক্ষদর্শী সহযাত্রী। 'মদ্যপ যাত্রীদের সঙ্গে যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমনটাই করা হল,' ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
ইন্ডিগোর বিবৃতি
সংস্থা বিবৃতি জারি করে বলে, শিশুটি আতঙ্কিত অবস্থায় ছিল। গ্রাউন্ড স্টাফরা তার শান্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সে শান্ত হয়নি।
বিমান মন্ত্রীরও কানে গিয়েছে
ঘটনার পরে, কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ইন্ডিগো এয়ারলাইনসকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।