শুরু হয়েছিল ওয়াজিরএক্স দিয়ে। এবার দেশের একাধিক বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কার্যালয়ে অভিযান চালাল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টেজিলেন্স (ডিজিজিআই)। যে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোটি-কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
ওই সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএনআই বলেছে, ‘(ভারতের) প্রায় ছ'টি ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাতে বড় অঙ্কের জিএসটি ফাঁকি চিহ্নিত করেছে ডিজিজিআই।’
দিনকয়েক ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের দিকে নজর রয়েছে ডিজিজিআইয়ের। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়, ৪০.৫ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি দিয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ ওয়াজিরএক্স। সেজন্য সুদ, জরিমানা এবং ফাঁকি দেওয়া জিএসটি বাবদ ওয়াজিরএক্সকে ৪৯.২ কোটি টাকা চোকাতে হয়। জান্মাই ল্যাব প্রাইভেট লিমিটেড এবং বিন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের মালিকালাধীন ডব্লুউআরএক্সের পরিচালিত ওয়াজিরএক্সের ব্যবসা সংক্রান্ত কাজকর্ম খতিয়ে দেখার সময় কর ফাঁকির বিষয়টি সামনে আসে।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একাধিক ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থায় ডিজিজিআই অভিযান চালায় বলে সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে এএনআই। ওই সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, মুম্বইয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সংস্থায় অভিযান চালিয়ে ৭০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার সামনে এসেছে। মেসার্স বিটসিফারের কয়েনসুইচ কুবের, মেসার্স নেবিলো টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের কয়েনডিসিএক্স, মেসার্স আই ব্লক টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের বাইইউকয়েন এবং মেসার্স ইউনোকয়েন টেকনোলজিসের ইউনোকয়েনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ডিজিজিআই। ওই সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএনআই বলেছে, ‘এই পরিষেবার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। যা ওই সংস্থাগুলি ফাঁকি দিচ্ছিল।’