মঙ্গলবার থেকে পদ্মা ব্রিজের উপর দিয়ে চালু হল ঢাকা-খুলনা ট্রেন পরিষেবা। পদ্মা ব্রিজ রেল লিঙ্ক প্রজেক্টের আওতায় এই রেল সিস্টেম চালু হল। দুটি ইন্টারসিটি ট্রেন, নাম জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ও রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস। বলা হচ্ছে বাংলাদেশের রেলের ইতিহাসে নতুন অধ্য়ায়ের সূচনা হল।
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় খুলনা রেলস্টেশন থেকে ছাড়ার কথা ছিল। এই পরিষেবাটা পদ্মা ব্রিজ রেল লিঙ্ক প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকা আর খুলনার মধ্যে যাতায়াতের সময় আরও কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় কার্যত বিপ্লব আনবে এই পরিষেবা।
বাংলাদেশের রেলের উপদেষ্টা মহম্মদ ফউজুল কবীর খান ঢাকার কমলপুর রেলস্টেশনে এই পরিষেবার সূচনা করেন।
বাংলাদেশের রেল দফতরের দাবি, পদ্মা ব্রিজের উপর দিয়ে এই রেল পরিষেবা যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমিয়ে দেবে। ঢাকা থেকে খুলনা ভায়া টাঙ্গাইল হয়ে যেতে লাগে সাড়ে ৯ ঘণ্টা। এই সময় এবার অনেকটাই কমবে।
দুটি ট্রেনই থাকছে ১২ কোচের। সব মিলিয়ে ৭৬৮ যাত্রী ধরবে এই ট্রেন। এদিকে ঢাকা, খুলনা, বেনাপোলের মধ্য়ে যাতায়াতের সময় আরও কমে গেল এবার।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, খুলনা থেকে নড়াইল হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস সাড়ে ৪ ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছে গিয়েছে। খুলনা থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। তবে ৪ মিনিট দেরি হয়। ঢাকায় পৌঁছয় সকাল ১০টা বেজে ৩৫ মিনিটে। ট্রেনটির দেরি হয়েছে সব মিলিয়ে ৪৫ মিনিট।
শিবচরের ক্রশিংয়ের কারণে ট্রেনটির ২৫ মিনিট দেরি হয়েছিল। ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। এদিকে ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার ট্রেনের সময় অনেকটাই কমে যাওয়ার খুশি যাত্রীরা।
তবে প্রথম দিনেই ট্রেন কিছুটা লেটে পৌঁছয় বলে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগে ট্রেনে খুলনা থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগত কম করে হলেও সাত ঘণ্টা। এদিন জাহানাবাদ এক্সপ্রেসে সব মিলিয়ে খুলনা থেকে ৫৫৩জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার দিয়ে রওনা দিয়েছিল।
এদিকে প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এনামুল হক নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন, ট্রেনটি খুলনা থেকে ৪ মিনিট দেরিতে ছেড়েছিল। ঢাকায় পৌঁছেছে ১০টা ৩৫ মিনিটে। সব মিলিয়ে প্রথম যাত্রায় ৪৫ মিনিটের মতো দেরি করেছে ট্রেনটি। তবে ট্রেন জার্নিটা ছিল বেশ আরামদায়ক।