হাসিনা দেশ ছাড়তেই এবার বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের জন্য সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হয়ে যাচ্ছে। এদিন, ইসলামাবাদে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকার ঢাকার উপরাষ্ট্রদূত মাহবুব উল আলম। তিনি দাবি করেন, সরাসরি এই বিমান পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের ব্যবসায়িক দিক থেকে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে। যা দুই দেশের জন্যই লাভদায়ক।
এক একটি অধ্যায় ছিল বিভীষিকাময়। বহু শহিদের রক্তের বিনিময়ে এসেছিল বাংলাদেশের সেই স্বাধীনতা পর্ব। গোটা পর্ব ঘিরে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের জয়গান আর পাকিস্তানি সেনার অকথ্য অত্যাচারের ইতিহাস। তবে সেই পর্বের পর এবার বাংলাদেশ খুব শিগগিরই পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করতে চলেছে। শুক্রবার পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এই বিমান সফর খুব শিঘ্রই চালু হবে। এই বিমান পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্যিক ক্ষেত্র উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই বহুজাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা এখন নেই। তবে, ভারতের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই খবর খুব একটা সুখের নয়। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ এর আগে, ভারতের বুকে বহু রক্তাক্ত অধ্যায় দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে এই ইসলামাবাদ ও ঢাকার ঘনিষ্ঠতার ওপর নজর রাখছে দিল্লি। ঢাকা, ইসলামাবাদের হৃদ্যতা বাড়ার পর্বে আরও এক ঘটনা হল, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় বার্ষিক বাণিজ্য প্রদশর্নীতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে যেতে যাতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হয় বাংলাদেশে, তার দিকে খেয়াল রাখছে ঢাকা। ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত, পাকিস্তানের হায়দরাবাদ চেম্বার অফ স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রিজে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আগ্রহী।