লেখকদের 'মুক্তকণ্ঠ রোধ' করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের পড়ুয়ারা সাড়ে ১৯ ফুট উঁচু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ভাস্কর্য তৈরি ক্যাম্পাসে বসিয়েছিলেন। প্রতিবাদ জানাতে রবি ঠাকুরের মুখে কালো রঙের টেপ সেঁটে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি রবি ঠাকুরের হাতে থাকা 'গীতাঞ্জলি'টির মধ্যে দিয়ে পেরেক চলে গিয়েছিল। সেটি রক্তাক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে স্থাপন করা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের এই ভাস্কর্য। তবে মঙ্গলবার সেই মূর্তিটি 'গুম' হয়ে যায়। সেই গুম মূর্তির মাথাটা এবার মিলল আবর্জনার মধ্যে। (আরও পড়ুন: সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে বড় ঘোষণা বিজেপির, পদ্মের চালে চাপে পড়বে ঘাসফুল?)
এদিকে মঙ্গলবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি 'চুরি'র ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতিবাদ করেছিলেন পড়ুয়ারা। ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’ লেখা একটি কাপড় মূর্তির স্থানে টাঙিয়ে দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। এরপর থেকেই এই মূর্তিটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। অভিযোগ ওঠে, কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে অপসারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সেই কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মূর্তিটি অপসারণের কথাটি স্বীকার করে নেয়। তবে সেই ভাস্কর্য কোথায় রাখা হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে অবশেষে মূর্তিটির মাথা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তবে বাকি মূর্তিটি কোথায়, তা এখনও জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি গেটের কাছে সেন্ট্রাল লাইব্রেবির ঠিক উল্টোপাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতরে আবর্জনার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিটির মাথা পাওয়া গিয়েছে। পড়ুয়ারাই সেই মূর্তিটি খুঁজে পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশে ওপর বাধা সৃষ্টির প্রতিবাদে সেই মূর্তি বসানো হয়েছিল। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গোপনে সেখানে ওই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল। তাই এই মূর্তি সরানোর পদক্ষেপ করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে পড়ুয়ারা জানান, ফেব্রুয়ারি জুড়ে রাজু ভাস্কর্যের পাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই মূর্তিটি রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। এই আবহে এবার আবর্জনার মধ্যে সেই মূর্তির মাথা উদ্ধার হওয়ায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।