নিশা আনন্দ
ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে ভয়াবহ আগুন। ধানবাদের ওই বহুতল অ্যাপার্টমেন্টে বিধ্বংসী আগুনে অন্তত ১৪জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তার মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঘটনা। আশীর্বাদ অ্যাপার্টমেন্টে এখনও অনেকে আটকে পড়েছেন বলে খবর। এদিকে বহুতলের জানালা দিয়ে আগুনের গোলা দেখতে পাওয়া যায়। ধানবাদের একেবারে অভিজাত এলাকায় এই অগ্নিকান্ডের জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আগুনের জেরে যারা আটকে পড়েছেন তাদের উদ্ধার করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ দমকলের কাছে। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত চারজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
শনিবারই ধানবাদের একটি হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। সেই সময় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে এক চিকিৎসক দম্পতিও ছিলেন। শহরের ব্যাঙ্ক মোড় এলাকায় তাঁদেরই নার্সিংহোমে আগুন লাগে। তার রেশ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই ধানবাদের বহুতলে আগুন।
দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বহুতলের একাংশ। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। লাইভ হিন্দুস্তান সূত্রে খবর, দ্রুতগতিতে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আবাসনের চারতলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেই বিয়ে বাড়িতেই প্রাথমিকভাবে আগুন লেগে যায়। এরপর আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করতে থাকে একের পর এক ঘর।তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও পরিষ্কার নয়।
এদিকে একের পর এক অগ্নিদগ্ধ আবাসিককে নামিয়ে আনা হচ্ছে। বাসিন্দাদের দাবি, কিছুদিন আগে স্থানীয় বাজারেও আগুন লেগেছিল। এবার ফের বহুতলে আগুন। অগ্নিনির্বাপক বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানে আবাসন তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর জেরে সমস্যা আরও বেড়েছে।
তবে একের পর এক ধানবাদে এই আগুন লাগার ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। কীভাবে আগুন লাগল তা দমকল খতিয়ে দেখছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলছে। আগুনের লেলিহান শিখা বহুদূর থেকেও দেখা যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেন বাসিন্দারা। কার্যত যতুগৃহের রূপ নেয় আবাসনটি। একের পর পর আবাসিকের মর্মান্তিক মৃত্যু। একাধিক মহিলা ও শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্য়া আরও বাড়়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র সহ যাবতীয় সামগ্রী পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে।