‘যা আমায় অনুপ্রেরণা দেবে, তাই লিখব, আর যা আমি লিখব তাই হবে সত্যি।’ বাগেশ্বরধামের ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর এই বক্তব্য এই মুহূর্তে খবরে। স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে সদ্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের অন্ধশ্রদ্ধ নির্মূলন সমিতি। অভিযোগ, সেই চ্যালেঞ্জের আসর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখন্ডের ছত্তরপুরের এই বাসিন্দা ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীকে ঘিরে একাধিক খবর প্রকাশ্যে আসছে। উঠছে বেশ কিছু বিতর্ক। দেখে নেওয়া যাক, সেই সমস্ত দিক।
স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু বলছেন, তিনি ‘ঈশ্বরের কৃপায়’ ও ‘সনাতন ধর্মের মন্ত্রশক্তি’তে এই ক্ষমতা পেয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রসঙ্গ ওঠে তাঁর সেই চ্যালেঞ্জের আসর ছেড়ে বেরিয়ে আসার অভিযোগ নিয়ে। তিনি তার জবাবে বলেন, ‘এরকম মানুষরা আসতে থাকবেন। আমাদের দরজা বন্ধ নয়। তাঁরা আসুন নিজেদের জন্য। ক্যামেরার সামনে যে কেউই আমার কথা বা কর্মকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। লক্ষজন আসেন আর বাগেশ্বর বালাজির দরবারে বসেন। আমাকে যা অনুপ্রেরণা দেয়, আমি তাই লিখি, আর যা লিখি তা সত্যি হয়।’ ওই সাক্ষাৎকারেই তিনি বলেন, সনাতন ধর্মকে যাঁরা বিরোধ করবেন তাঁদের বয়কট করা হবে। তিনি বলেন, ‘যাঁরা ধর্মসূত্রে হিন্দু , তাঁদের ধর্মে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। কিছু মানুষ তাতে বাধা দিচ্ছেন। তাঁদের শিক্ষা দিতে হবে। আমি যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন আমি সনাতনি হিন্দুদের তাঁদের নিজস্ব ধর্মে ফিরিয়ে আনব।’
উল্লেখ্য, স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীকে বাগেশ্বর বাবা, বাগেশ্বর মহারাজ, বাগেশ্বর ধাম সরকার হিসাবে অনেকেই আখ্যা দেন। জনশ্রুতি রয়েছে যে , তিনি মানুষের মন বুঝে নিতে পারেন। শোনা যায়, কোনও দরিদ্র পরিবার থেকে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী উঠে এসেছেন। একবার তিনি মধ্যপ্রদেশের পান্নার জঙ্গলে হিরে খুঁজতেও গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে তিনি স্বঘোষিত ধর্মগুরু হিসাবে পরিচিতি পান। বাগেশ্বরে ‘দিব্য দরবার’এ তাঁর অগণতি ভক্তের আগমন যেমন প্রচারিত হয়েছে, তেমনই সদ্য চ্যালেঞ্জের মঞ্চ থেকে তিনি সরে যান বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তা নিয়েও দেশ জুড়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup