জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অধিকর্তা পদে নিযুক্ত হলেন ডঃ ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম শতাব্দী-প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে একজন মহিলা।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং মানবদেহের তার প্রভাব নিয়ে গবেষণায় ডক্টরাল ফেলো হিসেবে যাত্রা শুরু বঙ্গতনয়ার। মাস্টার্স ও ডক্টরাল প্রোগ্রামে অসাধারাণ কৃতিত্বের জন্য রাষ্ট্রীয় বৃত্তি পান তিনি। আন্তর্জাতিক ফেলোশিপও পান ধৃতি।
পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ থেকে জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় ১৯৯৭ সালে যোগ দেন তিনি। ২০১২ থেকে জেডএসআইয়ের ডিজিটাল সিকোয়েন্স ইনফর্মেশন প্রোজেক্টের কোঅর্ডিনেটর ছিলেন তিনি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সঙ্গেও জড়িত তিনি। ব্যাঘ্র সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন অভয়ারণ্য এলাকাতেও কাজ করেছেন ধৃতি।
বর্তমানে তিনি হিমালয়ে জীববৈচিত্র্যের দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ এবং হিমালয়ের প্রাণীজগতের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন।
ধৃতি জানান, 'এক সময়ে সার্ভে ভিত্তিক গবেষণায় মহিলা বিজ্ঞানীদের নিয়োগই হত না। ১৯৪৯ সালে মীরা মনসুখানি প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন।' তবে ধৃতি জানিয়েছেন, সার্ভের কাজে নিজেদের প্রমাণ করতে এখনও মেয়েদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
ধৃতির দাবি, 'বিভিন্ন সার্ভের প্রকল্পে নতুন প্রাণী খুঁজে বের করার কাজেও অন্তত ৬০% ক্ষেত্রে মেয়েদের কৃতিত্ব রয়েছে। প্রজাপতি, পাখি থেকে অজানা স্তন্যপায়ী প্রাণী, যে দিকেই দেখা যাবে, মহিলা বিজ্ঞানীদের নাম জড়িয়ে।' শতাব্দী প্রাচীন এই সংস্থা প্রথম মহিলা ডিরেক্টর পেল এতদিনে। দ্বিতীয় মহিলা ডিরেক্টর আসতে এত দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে না, সেটাই আশা করা যায়।