মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেনকে হিরে উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তার মূল্য নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমেরিকার বিদেশ দফতরের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, জিল বাইডেনকে দেওয়া এই হিরের মূল্য প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা। তবে সেই মূল্য সঠিক নয় বলেই দাবি করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, মোদী ২০২৩ সালে জিল বাইডেনকে যে হিরে উপহার দিয়েছিলেন তার মূল্য ১৭ লক্ষ নয়, আসলে তার মূল্য ২ লক্ষ টাকারও কম।
আরও পড়ুন: প্রথম আমেরিকা সফরে ফার্স্ট লেডি জিলকে বহুমূল্য হীরে উপহার দিয়েছিলেন মোদী!
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী জিল বাইডেনকে যে হিরে উপহার দিয়েছিলেন সেটি ল্যাবে তৈরি। এটি ৭.৫ ক্যারেটের। আর এই কৃত্রিম হিরের মূল্য প্রাকৃতিক হিরের চেয়ে অনেক কম। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ল্যাবে তৈরি হিরের দাম প্রতি ক্যারেটে ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা। সেই হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিল বাইডেনকে যে হিরে উপহার দিয়েছিলেন তার মূল্য ১.১ লক্ষ থেকে ১.৯ লক্ষ টাকার মধ্যে।
উল্লেখ্য, আমেরিকার বিদেশ দফতরের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০২৩ সালের জুন মাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন মোদী। সেই সময় হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী জিলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি তাঁকে ৭.৫ ক্যারটের একটি সবুজ হিরে উপহার দিয়েছিলেন। পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি ওই কৃত্রিম হিরে দাম ছিল ২০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১৭ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। কৃত্রিমভাবে তৈরি হলেও ওই হিরেতে প্রাকৃতিক হিরের সমস্ত গুণই রয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রগুলি দাবি করছে, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের মূল্য প্রাকৃতিক হিরের মূল্যের ওপর নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে ল্যাব-উৎপাদিত হিরের দামের তীব্র হ্রাসের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিদেশ মন্ত্রক।উল্লেখ্য, আমেরিকার বিদেশ দফতরের তরফে বলা হয়েছিল ২০২৩ সালে বাইডেনের স্ত্রীর পাওয়া অন্য দামি উপহারগুলির মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মারকারোভার দেওয়া একটি ব্রোচ। সেটির দাম ১২ লক্ষ ৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া মিশরের প্রেসিডেন্ট ফাতাহ আল–সিসি ও তাঁর স্ত্রী এন্তিসার আমির ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি ব্রেসলেট, ব্রোচ ও ছবির অ্যালবাম দিয়েছিলেন।