দিল্লির এক বিখ্য়াত ক্যাফের কর্তার মৃত্যু ঘিরে উঠছে আত্মহত্যার অভিযোগ। এদিকে, তাঁর আত্মহত্যার নেপথ্য কারণ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। উল্লেখ্য, ওই ক্যাফে কর্তার মৃত্যুর আগে, তাঁর স্ত্রী সঙ্গে চলছিল ডিভোর্সের কেস। আর এই ডিভোর্সের কেসের মাঝেই ৪০ বছর বয়সী ক্যাফে কর্তার মৃত্যুতে তাঁর পরিবার ক্যাফে কর্তার স্ত্রীর দিকে আঙুল তুলছে। পুলিশ নেমেছে তদন্তে। আর তারই মাঝে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ঘিরে রয়েছে খবর। রিপোর্টের দাবি, ওই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ক্যাফে কর্তার মৃত্যুর আগে করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। তারপর তা বর্তমানে ডিলিট করা রয়েছে। কী লেখা ছিল সেই পোস্টে? তা কি এই কেসের ক্ষেত্রে খুবই ইঙ্গিতবহ?
এক মিডিয়া রিপোর্টের খবর অনুযায়ী বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম থেকে ডিলিট করা ওই পোস্টে সম্পর্কের ‘বিষাক্ত মনোভাব’, ‘গালিগালাজ’ নিয়েই কি কোনও ইঙ্গিত ছিল? এই পোস্ট ওই ক্যাফে কর্তার স্ত্রীর ইনস্টাগ্রামে মেলে। সেখানে নাম না করে বেশ কিছু কথা লেখা ছিল। জানা গিয়েছে, পোস্টে লেখা ছিল,' সমস্ত বিষাক্ত ব্যাপারের পর.. এবং আত্ম অহং কেন্দ্রিক কটূক্তি'র পর তিনি আরও 'ভালো থাকার চেষ্টা করছিলেন আরও বেশি উদাসীন হতে’ চাইছিলেন এই বিষয়টি নিয়ে। পোস্টে লেখা ছিল, ‘ নারীবাদ আমাকে মানায়… যেহেতু আদর্শবাদী মূল্যবোধ আমার মূল এবং নারীবাদ মানে নিছক সম্মান দেওয়া এবং পাওয়া। একে অপরের কাছে। কোন দাসের মতো আচরণ নয়, এবং কোন মেয়ে তার মনের কথা বলতে বাধা পাবে এমনটা নয়…’, তিনি তারপর লিখছেন,'এমনকি বাড়ির পরিচারিকা, পাহারাদার, রিকশাওয়ালা, একটি ছোট বাচ্চাও সম্মানজনক আচরণের দাবি রাখে। একবার এক কাপুরুষ আমার সাথে যুদ্ধ করেছিলেন যে 'সম্মান অর্জন করতে হবে'। উফফফ! কি অপমানজনক!' তিনি লিখছেন,'প্রত্যেককে সম্মান দিতে হবে।' তাঁকে গালিগালাজ করা হত, এমন অভিযোগ তুলে তিনি কারোর নাম না করে লিখছেন,' আমি শুধু চাই এই দুর্ব্যবহারকারীরা একদিন আয়না দেখতে পাবে এবং বুঝতে পারবে.. যে দয়া, ভালবাসা, বোঝাপড়া, বিশ্বাস, প্রজ্ঞা, স্নেহ এবং যত্ন সবই সত্যিকারের গুণ এবং অর্থ, সম্পত্তি এবং সোনার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব রাখে।'
এদিকে, প্রয়াত ব্যবসায়ীর বোন দাবি করছেন, তাঁর ভাইকে তাঁর ভ্রাতৃপত্নী বারবার উস্কানি দিয়েছেন আত্মহত্যায়। তাঁর অভিযোগ দিল্লির ক্যাফে কর্তার স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের তরফে তাঁর ভাইকে এই প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়াত ব্যবসায়ীর বোনের অভিযোগ,'তাঁরা আমাদের বাবা-মাকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং তাঁকে (ভাইকে) তাঁর দোকানের শাটার না খোলার হুমকি দেয়। তাঁরা তাকে গালিগালাজ করতে থাকে।'