আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে মিলবে ‘শাস্তি’। শেষ দুটি অর্থবর্ষে আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে ১ জুলাই থেকে বাড়তি টিডিএস (ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স) এবং টিসিএস (ট্যাক্স কালেক্টড অ্যাট সোর্স) কাটা হবে। যাঁদের বার্ষিক টিডিএস বা টিসিএস ৫০,০০০ টাকার বেশি হয়েছে, তাঁদের সেই ‘শাস্তি’ দেওয়া শুরু করবে কেন্দ্র।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সসের (সিবিডিটি) তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা কর কেটে নেন, তাঁদের উপর থেকে বাড়তি বোঝা কমানোর জন্য ইতিমধ্যে একটি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে ('Compliance Check for Section 206AB & 206CCA')। যা ইতিমধ্যে আয়কর বিভাগের পোর্টালের মাধ্যমে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
নয়া টিডিএস নিয়ম
এতদিন যে হারে কাটা হত, এবার থেকে তার থেকে বেশি হারে কাটা হবে টিডিএস। আয়কর আইনের নির্দিষ্ট ধারায় যে হারে টিডিএস কাটার বিধান আছে, তার দ্বিগুণ টাকা গুনতে হবে। অথবা যে হারে টিডিএস কাটা হয়, তার দ্বিগুণ হারে কাটা হবে টিডিএস। অথবা পাঁচ শতাংশ হারে টিডিএস হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে নয়া টিডিএস নিয়ম কার্যকর হবে না?
অভিষেক সোনি বলেছেন, ‘যদি গত দুটি অর্থবর্ষে ৫০,০০০ টাকার কম (প্রতি বছর ৫০,০০০ টাকার কম) টিডিএস কাটা হয় অথবা আপনি গত দুটি অর্থবর্ষ ধরে নিয়মিত আয়কর রিটার্ন জমা দিলে সংশ্লিষ্ট ধারার আওতাভুক্ত এই নিয়ম কার্যকর হবে না।’ সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বেতন-বাবদ আয় (১৯২), লটারি (১৯৪বি), ঘোড়াদৌড়ি (১৯৪বিবি), পিএফ (১৯২এ), ট্রাস্টের আয় (১৯৪এলবিসি) এবং নগদ তোলার (১৯৪এন) ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না নয়া নিয়ম। সেইসঙ্গে যে প্রবাসীদের ভারতে স্থায়ী কোনও প্রতিষ্ঠান নেই, তাঁদের ক্ষেত্রেও বাড়তি টিডিএস কাটার নিয়ম কার্যকর হবে না।
এমনিতে গত দুটি অর্থবর্ষে (২০১৮-১৯ এবং ২০২০-২১) কারা আয়করের রিটার্ন জমা দেননি, তা নিয়ে চলতি অর্থবর্ষের (২০২১-২২) শুরুতেই একটি তালিকা তৈরি করেছে আয়কর বিভাগ। তারইমধ্যে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত করদাতাদের ভার কিছুটা লাঘব করতে সম্প্রতি আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন সময়সীমা বাড়িয়েছে সিবিডিটি। সেইসঙ্গে গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকের টিডিএস ফাইল করার সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ জুলাই করা হয়েছে।