ত্রিপুরায় তৃণমূলের নতুন রাজ্য স্টিয়ারিং কমিটি গড়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুজো মিটে গেলেই ত্রিপুরায় জনসংযোগ অভিযান শুরু করবে তৃণমূল। সেইসঙ্গে বাংলায় নির্বাচনের মতোই রাস্তায় নামবে ‘দিদির দূত’। শুক্রবার ত্রিপুরায় নতুন রাজ্য স্টিয়ারিং কমিটির নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই নির্দেশ দেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রচারাভিযান। ১০ দিন ধরে এই প্রচার চলবে। বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলবে এই প্রচার। বাংলার মতো ত্রিপুরার রাস্তাতেও নামবে ‘দিদির দূত’। প্রতিটি জায়গায় সভা হবে। এদিন সন্ধে ৬টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে দলীয় নেতাদের বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সংগঠনকে নিচুতলা পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে স্টিয়ারিং কমিটির তিন নেতাকে রাজ্যের আট জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংহকে ধলাই, খোয়াই, উনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিককে দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব পশ্চিম ত্রিপুরা ও সিপাহীজলার দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনটি দলে ভাগ হয়ে গোটা রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের কাজ করবেন তাঁরা। গোটা রাজ্যে ৩০ জন কাজ করবে। জানা যাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরে ত্রিপুরায় যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ কারো অধীনে কাজ করবে না। সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে কাজ করবেন। এদিন ত্রিপুরায় পুরভোটে লড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিষেক। তবে তার আগে ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল এই স্লোগানকে সামনে রেখে জোরকদমে প্রচার চালানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ছেড়ে অসংখ্য নেতা-কর্মী তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। রাজ্যের বহু অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও তৃণমূলকে সমর্থন করেছে।
গত বৃহস্পতিবার আগরতলায় বিভিন্ন দল থেকে ১৭৭ জন যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের মতে, ‘ত্রিপুরায় শাসক দল বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে একমাত্র তৃণমূল লড়াই করছে। তাই ক্রমশই সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। আমজনতা বুঝতে পেরেছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র বিকল্প। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় নতুন ভোরের সূচনা হবে। তাই প্রতিদিনই দলে দলে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন।’