রাজ্যসভার অধিবেশন পর্বে এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির উঠে এল। কারণ অধিবেশন চলাকালীন মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে নতুন পদক্ষেপ করতে দেখা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সম্ভাব্য তারিখের কথা জানিয়ে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রীতিমতো সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। সেই জগদীপ ধনখড়কেই এবার আমন্ত্রণ জানিয়ে চাপে ফেলে দিলেন ডেরেক। কলকাতায় বড়দিন পালনের যে উৎসব হয় সেই কথা বলতে গিয়েই এক ফাঁকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে আমন্ত্রণের কথা উল্লেখ করেন ডেরেক।
সম্প্রতি দিঘা সফরে গিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের কাজ দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। একেবারে পুরীর মন্দিরের ধাঁচেই তৈরি হচ্ছে দিঘার এই জগন্নাথ মন্দির। এই জগন্নাথ মন্দির তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। দিঘা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মার্বেলের মূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কাঠেরটা একটু বাকি আছে। সব মিলিয়ে আরও কিছু টাকা খরচ করতে হবে। ট্রাস্টি তৈরি করা হয়েছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে।’
আরও পড়ুন: ভাতারে বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনার কিনারা তিন ঘণ্টাতেই, পুলিশ গ্রেফতার করল তিনজনকে
এই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ে উঠলে সমুদ্র এবং মন্দির একসঙ্গে পাবেন পর্যটকরা। এটা একটা পরিপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। পুরীর মন্দিরের মতোই এখানে থাকবে ধ্বজা তোলার ব্যবস্থাও। মহাসমারোহে আয়োজন করা হবে রথযাত্রাও। সুতরাং সময় এবং খরচের জন্য পুরী যেতে না পারলেও তার বিকল্প হিসাবে পাওয়া যাবে দিঘাকে। এটাই হবে পর্যটকদের কাছে হলি ডেস্টিনেশন। এই আবহে জগদীপ ধনখড়কে আমন্ত্রণ করে বেশ চাপে ফেলে দিলেন ডেরেক। রাজ্যসভার মতো যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানালেন ডেরেক। কিন্তু তিনি কি আসতে পারবেন? উঠছে প্রশ্ন।
কেন আসতে পারবেন না? দিঘার এই জগন্নাথ মন্দিরকে নিয়ে বিপরীত অবস্থানে হেঁটে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যিনি আবার ধনখড়ের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বাংলায় থাকার সময়। সেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি বলেছেন, ‘আমি জগন্নাথ দেবের ভক্ত। চারধামের একধাম পুরী ধাম। একে নকল করবেন না।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য নকল করা হয়নি। বরং ভালটা নেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন অনেকে। তাই জগদীপ ধনখড় নাও আসতে পারেন।