দীক্ষা ভরদ্বাজ
বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী এবং প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী সহ প্রায় ১ কোটি ৫০ হাজার মানুষ পেনশন পেমেন্ট দাবি করার জন্য ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র ব্যবহার করেন বলে জানা গিয়েছে সরকারি তথ্যে। দেশে মোট সরকারি পেনশনভোগীর সংখ্যা আনুমানিক ৬৮ লক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা এই বিষয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র আধার সংযুক্ত প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্যই কাজ করে। এর জন্য এক ব্যক্তি অথেন্টিকেশনের জন্য একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইস কিনতে পারেন। সেই যন্ত্রের দ্বারা শংসাপত্র যাচাই করতে ফোন বা ল্যাপটপের সাথে সেটিকে সংযুক্ত করতে হবে। এর মাধ্যমে একাধিক স্থানে সার্টিফিকেট যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা দূর হয়।’
ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র প্রথম ২০১৪ সালে চালু করা হয়েছিল। সরকার ২০১৭ সালে এই ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছিল৷ এটি তখন থেকেই পেনশনভোগীদের জন্য একটি সহজ বিকল্প হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে কোভিড-মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে এই পদ্ধতি অনেককে উপকৃত করেছে৷ ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য সাইন আপ করা ১ কোটি অবসরপ্রাপ্তের মধ্যে ২৪ লাখ সরকারি পেনশনভোগী বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯১ হাজার কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত। আর ১১ লক্ষ সশস্ত্র পরিষেবা থেকে অবসরপ্রাপ্ত। ২ লক্ষের বেশি ডাক বিভাগের এবং প্রায় তিন লক্ষ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা ডিজিটাল মাধ্যমের সুযোগ নিচ্ছেন।
ডিজিটাল জীবন শংসাপত্রটি ভারতের অনন্য সনাক্তকরণ কর্তৃপক্ষ (UIAI) দ্বারা যাচাই করা হয়। তা যাচাই করে UIAI ব্যাঙ্কে পাঠায়। যদিও এই স্কিমটি মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশনভোগীদের জন্য চালু করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে বেসরকারি সংস্থা থেকে অবসরপ্রাপ্তরাও এটি ব্যবহার করছেন।