দ্বিতীয় ওয়েভে আগের থেকে অনেক বেশি দ্রুত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু সেই গ্রামাঞ্চলেই টিকার হার কম। বরং এখনও শহরাঞ্চলের মানুষই বেশি টিকা পেয়েছেন।
এর কারণ কী হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া এর অন্যতম কারণ। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হতে পারেন। কিন্তু সিংহভাগ এখনও ইন্টারনেট ব্যবহার করা, বা তাতে পারদর্শী হওয়ার থেকে অনেক দূরে। এছাড়া সচেতনতার অভাব, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির গা-ছাড়া মনোভাবকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।
পরিসংখ্যান :
করোনা সংক্রমণের প্রথম ১৩ দিনে (যে সময়ে মূলত স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নিয়েছেন) শহুরে জেলাগুলিতেই বেশিরভাগ মানুষ টিকা নিয়েছেন। সেই সময়ে শহরাঞ্চলে টিকাকরণের হার ছিল ০.২৫% । অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে টিকাকরণের হার ছিল ০.১৮% । শহুরে এলাকা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শুরুতেই ১.৩৯ গুণ বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। আর চলতি মাসের ১ থেকে ১৩ মে-র মধ্যে আরও বেড়েছে ব্যবধান। গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহুরে জেলাগুলিতে ১.৬৫% বেশি মানুষ করোনা টিকা গ্রহণ করেছন।
কেন এটি চিন্তার বিষয়?
ভারতের মোট জনসংখ্যার ৭৩%-ই গ্রামে থাকে। চলতি মার্চে মোট করোনা সংক্রমণের ৩৪.৩% হয়েছে গ্রামে। ৪৮.২% সংক্রমণ শহরে। বাকি সংক্রমণ ঘটেছে মফঃস্বল এলাকায়।এপ্রিলেই গ্রামাঞ্চলের এই পরিসংখ্যান এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে। গত মাসে দেশে মোট করোনা সংক্রমণের ৪৪.১%-ই হয়েছে গ্রামে। শহরে হয়েছে ৪০.৮% । ফলে করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে গ্রামাঞ্চলে টিকাকরণ বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া প্রয়োজন।