আজই সকালে জানা যায়, মনোনয়ন জমার শেষ দিনে কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সামিল হচ্ছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে। এরপরই জানা যায়, নিজের মনোনয়ন পত্র পেশ করবেন না দিগ্বিজয় সিং। গতকালই নিজের প্রার্থীপদের বিষয়ে নিশ্চিত করেছিলেন দিগ্বিজয়। শশী থারুরের সঙ্গে দেখা করে ‘বন্ধুপূর্ণ লড়াই’-এর বার্তাও দেন। এরই মাঝে তিনি বলেছিলেন, ‘নেহেরু-গান্ধী পরিবারই আমাদের নেতা থাকবে চিরকাল।’
দিগ্বিজয় বলেছিলেন, ‘যারাই দলের সভাপতি হবেন, তিনি গান্ধীদের নেতৃত্বেই কাজ করবেন... দেশের পরিস্থিতি কীভাবে উন্নতি হয় সেটাই আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা দেশকে বিভক্ত বা সংবিধানকে দুর্বল হতে দেব না।’ এরপর তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক পিসিসি প্রতিনিধির সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে। আমি নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সঙ্গে আমার মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা করিনি। আমি একে অ্যান্টনি এবং মল্লিকার্জুন খড়গে সহ কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে দেখা করেছি।’
প্রসঙ্গত, গান্ধী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হলেও দিগ্বিজয়কে নিয়ে সংশয় ছিল বহু নেতার মনেই। অনেক ক্ষেত্রেই আলটপকা মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ানো দিগ্বিজয়ের স্বভাব। এই পরিস্থিতিতে সামনে আসে মল্লিকার্জুন খড়গের নাম। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে গান্ধীদের ‘সমর্থনে’ মনোনয়ন পেশ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই আবহে দিগ্বিজয় এই লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন। এর আগে আজ সকালে খড়গের সঙ্গে ফের একবার দেখা করেন দিগ্বিজয় সিং। তারপরই জানা যায়, সভাপতি পদের জন্য লড়বেন না দিগ্বিজয়।
এদিকে খড়গে বাদে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে আরও দুই নেতার নাম। আর এই দুই নেতাই ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে পরিচিত। এঁদের একজন হলেন – মণীশ তিওয়ার। অপরজন হলেন মুকুল ওয়াসনিক। জি-২৩ গোষ্ঠীর সেই বিস্ফোরক চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল এই দুই নেতারই। সাম্প্রতিককালে মণীশ তিওয়ারি অনেক ক্ষেত্রেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে দলতে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। অগ্নিবীরের মতো প্রকল্প নিয়ে তিনি কেন্দ্রকে সমর্থন করেছেন। এদিকে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে পরিচিক হলেও কোনও বিতর্কে জড়ান না মুকুল ওয়াসনিক। জি-২৩ গোষ্ঠীর চিঠিতে তাঁর স্বাক্ষর থাকলেও দলের হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে আজও পর্যন্ত তাঁকে একটি শব্দ উচ্চারণ করতে শোনা যায়নি। এত বিতর্কের মাঝেও দলের সাধারণ সম্পাদকের পদও তিনি ধরে রেখেছেন। এই আবহে এই দুই নেতা সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন পেশ করলে সমীকরণ বদলে যাবে ফের একবার।