সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ সিদ্ধান্ত। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বিষয়টি ‘পুর্নবিবেচনা’ করবে। ক্লাবহাউসে কথোপকথনের একাধিক অডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করা হল, কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং সেই মন্তব্য করেছেন। তা নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে বিজেপির অভিযোগ, ভারতের বিরুদ্ধে এবং পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
শনিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ক্লাবহাউস কথোপকথনে দিগ্বিজয় নামে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সময় কাশ্মীরে গণতন্ত্র ছিল না। সেখানে মানবতা ছিল না, কারণ ওরা (কেন্দ্রের বিজেপি সরকার) সবাইকে জেলে পুরে দিয়েছিল। কাশ্মীরয়ত আসলে ধর্মনিরপেক্ষতার মৌলিক বিষয়। কারণ মুসলিম-অধ্যুষিত রাজ্যে হিন্দু রাজা ছিলেন এবং দু'পক্ষই একসঙ্গে ছিল। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা তো কাশ্মীরে সরকারি চাকরি সংরক্ষণের সুবিধা পেতেন। তাই সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করা অত্যন্ত দুঃখজনক সিদ্ধান্ত। কংগ্রেস অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে।’
সেই কথোপথনের বিষয়ে সরাসরি সত্যতা স্বীকার না করলেও বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে দিগ্বিজয় বলেছেন, ‘অশিক্ষিত লোকগুলো সম্ভবত করা হবে এবং বিবেচনা করা হওয়ার পার্থক্য বুঝতে পারেন না।’ সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ঘুরিয়ে দিগ্বিজয় স্বীকার করে নিয়েছেন যে ক্লাবহাউসে কথোপকথনের সময় তিনি ছিলেন এবং তিনি সেই মন্তব্য করেছেন।
যদিও দিগ্বিজয়কে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয় বিজেপি। বরং বিজেপির দাবি, পাকিস্তানের এক সাংবাদিককে সে কথা বলেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। পুরো বিষয়টিতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর জবাবদিহির দাবি করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং আবার বলেছেন, 'কংগ্রেসের প্রথম ভালোবাসা হল পাকিস্তান। দিগ্বিজয় সিং রাহুল গান্ধীর বার্তা পাকিস্তানকে জানিয়ে দিলেন। দিগ্বিজয় সিং ৩৭০ ধারা নিয়ে যা বলেছেন, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কথা বলে পাকিস্তান।’