দিল্লি পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে দিলীপ ঘোষকে নামিয়েছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিল্লিতে ভাষণ রাখতে গিয়েও অবশ্য তুলে ধরেন বাংলার কথা। আম আদমি পার্টিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তুলনা করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। দিলীপের কথায়, পুরসভায় আম আদমি পার্টিকে জেতালে দিল্লিতেও বাংলার মতো হাল হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের তুলনা করেন বিজেপি নেতা। দিলীপ বলেন, ‘একসময় বাঙালিদের সুখ্যাতির কথা শোনা যেত গোটা বিশ্বে। এখন তৃণমূল সরকারের কারণে শুধুই চুরি, সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যের কথা শোনা যায়।’ শুধু তাই নয়, দিলীপের ভাষণে এদিন ডিএ বঞ্চনা, পেশন না পাওয়া, বাঙালি গৌরব, তৃণমূলের দুর্নীতি, বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির মতো ইস্যু উঠে আসে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের, ‘ডবল ইঞ্জিনে’র অভাবে সরকার কীভাবে কার্যকারিতা হারায়, তা বোঝাতেই দিল্লিবাসীর সামনে দিলীপকে হাজির করেছিল বিজেপি। পাশাপাশি, দিল্লিতে বাঙালি জনসংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।
দিলীর ঘোষ বলেন, ‘বাঙালিরা শিক্ষিত, বাঙালিরা বিপ্লবীদের জন্ম দিয়েছে। গোটা দেশে যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালি অধ্যাপক পাওয়া যাবে। ডাক্তার থেকে ইঞ্জিনিয়র সব জায়গায় বাঙালি পাওয়া যাবে। কিন্তু এখন বাংলার কারামন্ত্রী দেশের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কী মন্তব্য করেছেন, তা সকলের চর্চার বিষয়। এখন তো টিভি খুললেই বাংলার কোনও না কোনও জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের খবর পাবেন। সমাজবিরোধীদের জায়গা হয়েছে তৃণমূলে।’
এদিকে ডিএ, পেনশনের মতো ইস্যুর উল্লেখ করে দিলীপ বলেন, ‘বাংলায় যাঁরা চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন তাঁরা পেনশন পাচ্ছেন না। পেনশেনর জন্য সম্প্রতি এক প্রধান শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। ওনাকে বঙ্গবিভূষণ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু পেনশন দেওয়া হয়নি। ডিএ পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি কর্মীরা রাস্তায় নেমে পুলিশের লাঠি খাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ডিএ দিলে সরকার সঙ্কটে পড়ে যাবে। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সব জায়গায় চুরি হচ্ছে। ওদের মন্ত্রী জেলে, জেলা প্রেসিডেন্ট, বিধায়ক জেলে যাচ্ছেন। রোজ কেউ না কেউ জেলে যাচ্ছে।’