জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতির ফল। খুব শীঘ্রই বছরে এক কোটিরও কম শিশু জন্মাবে চিনে। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন সেদেশের এক বিশেষজ্ঞ।
গুয়াংডং অ্যাকাডেমি অফ পপুলেশন ডেভেলপমেন্ট-এর প্রধান, ডং ইউঝেং এ কথা জানিয়েছেন চিনা সংবাদমাধ্যমকে। তিনি জানান, চিন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ। কিন্তু কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ আইনের প্রভাবে শীঘ্রই তা বদলে যেতে পারে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দ্রুত কমবে চিনের জনসংখ্যা।
চিনা বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট অনুযায়ী, জনসংখ্যা কমার ভালো দিকের সঙ্গে রয়েছে খারাপ দিকও। চিনের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিই এই বিপুল জনসংখ্যা। সস্তায় প্রচুর কর্মীর চাহিদা মেটাতে চিনে হাজির হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উত্পাদনকারী সংস্থা। হঠাত্ জনসংখ্যা অনেক হ্রাস পেলে তার প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আপাতত তিন বা তার অধিক সন্তানের নীতি আনার কথা ভাবা প্রয়োজন সরকারের। নয়তো ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
খুব শীঘ্রই চিনের ২০২০ সালের আদমশুমারির রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। আর তার আগেই এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন চিনা বিশেষজ্ঞরা। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, সর্বশেষ জনগণনায় ভয়ানকভাবে কমেছে অল্পবয়সিদের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে সিনিয়র সিটিজেন। ফলে, ভবিষ্যতে এই বিষয়টি নিয়েও ভাবা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করে চিন৷ গত ২০১৬ সালে দুই সন্তানের অনুমতি দেওয়া হয়৷