একের পর এক দুর্ঘটনা। কবচ সিস্টেম এখনও সর্বত্র লাগু করা যায়নি। তার জেরেই কি এবার গতিমান এক্সপ্রেস ও বন্দে ভারত ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হল? তবে সূত্রের খবর গতিমান ও বন্দেভারত দুটি সেমি হাইস্পিড ট্রেনের গতি আপাতত কমিয়ে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা করা হচ্ছে। এর আগে এই ট্রেনের স্পিড ছিল ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। স্বয়ংক্রিয় রক্ষাকবচ না হওয়া পর্যন্ত এই ট্রেনের গতিবেগ এমনটাই থাকবে।
এদিকে বর্তমানে হজরত নিজামুদ্দিন ও আগ্রা এই রেলপথের মধ্য়ে গতিমান এক্সপ্রেস ও দুটি বন্দে ভারত ট্রেনের গতি ছিল ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। সেখানকার রেলওয়ে লাইন এই গতিবেগে ট্রেন চলার পক্ষে উপযুক্ত। সেকারণেই সেখানে এই গতিবেগে ট্রেন চালানো হয়।
২৪শে জুন রেলওয়ে বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এনসিআর জোনের জেনারেল ম্যানেজারকে একটি চিঠি ইস্যু করেছে। সেখানেই বলা হয়েছে এই ট্রেনগুলির গতিগুলি ফের পর্যালোচনা করা দরকার।
সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, এনিয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে জোনাল রেলওয়ে কবচ সংক্রান্ত কাজ করবে ওই রুটে। সেই সময় পর্যন্ত ট্রেন সর্বোচ্চ ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ছুটবে। তার বেশি স্পিডে ছুটবে না ট্রেন।
সেই তালিকায় তিনটি ট্রেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্য়ে উল্লেখযোগ্য হল নিউ দিল্লি রানী কমলাপতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হজরত নিজামুদ্দিন-খাজুরাহো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি বীরাঙ্গনা লক্ষ্মীবাই ঝাঁসি গতিমান এক্সপ্রেসে কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১৭ জুন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা হয়েছিল। তারপরই গতিমান এক্সপ্রেসের চালককে বলা হয়েছিল ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ থেকে কমিয়ে সেটা ১৪০ কিমি প্রতিঘণ্টা করা দরকার।
এদিকে গতিমান হল ভারতের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেন। ২০১৬ সালে এই ট্রেন চালু হয়েছিল। নিজামুদ্দিন থেকে ঝাঁসি পর্যন্ত এই ট্রেন চালানো হয়। তবে গোটা রুটটাই যে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় এই ট্রেন চলে এমনটা নয়। একমাত্র তুঘলকাবাদ থেকে আগ্রার মাঝামাঝি জায়গায় এই ট্রেনটি এই ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা যেত। কারণ হল এই জায়গাটিতে রেলের লাইনকে এই গতিমান এক্সপ্রেস চালানোর উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। তবে আপাতত গতি কমছে গতিমানে। গতি কমছে বন্দে ভারতের। ধীর গতিতে না হলেও গতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।