আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দিনকে দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফোনালাপ সম্পর্কে টুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। টুইটে মোদী জানান, জার্মানি ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন দিক নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, এখনও তালিবানের সঙ্গে সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে মুখ খোলেনি ভারত। ধীরে চলো নীতিতে চলছে ন্যাটো। আলাদা করে জার্মানি কোনও কথা বলেনি এই বিষয়ে। পাশাপাশি কোভিড টিকা নিয়েও আলোচনা হয় দুই জনের।
এদিকে জানা গিয়েছে দুই নেতাই আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার প্রক্ষে মত দিয়েছেন। তাছাড়া আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করার বিষয়ে জোর দেওয়ার কথাও বলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ভারত এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জনকে দেশে এনেছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ভারতীয়। রয়েছেন দুই নেরালি নাগরিক। দুই আফগান আইনপ্রণেতা সহ রয়েছেন বহু শরণার্থী। এদিকে জার্মানিও প্রায় ২৭০০ জনের মতো নাগরিককে নিজেদের দেশে ফিরিয়েছে কাবুল থেকে। এদিকে ভারত শুধু কাবুল নয়, তালিবানি দখলে থাকা মাজার-ই-শরিফ থেকেও নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়েছে।
এর আগে জার্মান বিদেশমন্ত্রী হাইকো মাস ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করেন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে। এদিকে আজ জি৭ দেশগুলির জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা। জার্মানির দাবি. উদ্ধারকাজের সময়সীমা বাড়ানো উচিত। আমেরিকার অন্যান্য বন্ধুরাষ্ট্রও এই মত পোষণ করে। সময়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও এই সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তালিবানের আন্তর্জাতিক মিডিয়া মুখপাত্র সুহেল শাহিন জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর শেষ দিন হিসাবে ধার্য করে দেওয়া হয়েছে ৩১ অগস্ট। সেই দিনের পরও কাবুল থেকে মার্কিন এবং ব্রিটিশ সেনাবাহিনী তাদের প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়ানোর চেষ্টা করলে ফল ভুগতে হবে সেই দেশগুলিকে। বৈধ ভিসা দেখিয়ে আফগনরা ৩১ অগস্টের পরও বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে দেশ ছাড়তে পারবেন।