ডিশ টিভি ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে? গত প্রায় ১৮ মাস ধরে এই নিয়ে চলছে লড়াই। সংস্থার সিংহভাগ শেয়ার হোল্ডার এবং সুভাষ চন্দ্রের মধ্যের বিরোধ আপাতত অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম স্যাটেলাইট টেলিভিশন সংযোগ প্রদানকারী ডিশ টিভি। আপাতত তারা নিজেদের বোর্ডে ইয়েস ব্যাঙ্কের সুপারিশ অনুযায়ী দুই জন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ করতে রাজি হয়েছে। টাচ করুন: Cable TV Cost: আগামী মাসে অনেকটাই বাড়তে পারে কেবল টিভির খরচ! জানুন বিশদে
গত দুই বছর ধরে সুভাষ চন্দ্রের-মালিকানাধীন সংস্থার বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহে নেমেছেন বিনিয়োগকারীরা। তাঁরা এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশি। তাঁদের দাবি, এই দুই পরিচালক নিয়োগই শুরু। এর শেষ হবে কোম্পানির বিক্রি হওয়া দিয়ে। সংস্থা বিক্রি হয়ে গেলে, শেয়ারহোল্ডারদের তবেই লাভ হবে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ডিশ টিভির বর্তমানে দুই পরিচালক রয়েছেন। তাঁরা হলেন রশ্মি আগরওয়াল এবং শঙ্কর আগরওয়াল। চলতি বছরের শেষের দিকেই তাঁদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কোনও তালিকাভুক্ত সংস্থাকে অর্থবর্ষের শেষের পর তার ছয় মাসের মধ্যে AGM সভা ডাকতে হয়। এর অর্থ হল রশ্মি আগওয়ালের মেয়াদ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হতে পারে। যদি আগরওয়াল দ্বিতীয় মেয়াদ চান, তার প্রার্থীতা শেয়ারহোল্ডারদের আগে একটি ভোটের জন্য রাখা আবশ্যক। ডিশ টিভির শেয়ারহোল্ডাররা গত ১৫ মাসে নয়জন বোর্ড সদস্যকে অপসারণ করেছেন। ফলে নতুন মিটিংয়ের পর রশ্মির দ্বিতীয় ইনিংস হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কম বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে শঙ্কর আগরওয়ালেরও মেয়াদ শেষ হবে ২৪ অক্টোবর।
শুক্রবার, ডিশ টিভি এক্সচেঞ্জে জানিয়েছে, তারা দুই সদস্যের বোর্ডে গিরিশ পরাঞ্জপে এবং অরবিন্দনাচ্য চন্দ্রাচ্যের নাম বিবেচনা করেছে। উভয়ের কাছ থেকে সম্মতি নেওয়ার জন্য ম্যানেজমেন্টকে সুপারিশ করেছে। ডিশ টিভির বোর্ডে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ইয়েস ব্যাঙ্কের সুপারিশকৃত সাতজন পরিচালকের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গিরিশ এবং অরবিন্দনাচ্য। আপাতত দু'জনেই আগামী এক মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Essel গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ চন্দ্র ইয়েস ব্যাঙ্কের থেকে ৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি ধার নিয়েছিলেন। ঋণে বদলে ব্যাঙ্কে শেয়ার বন্ধক ছিল। এদিকে ঋণ মেটাতে না পারায় সেই শেয়ার দখল নেওয়ার পথে হাঁটে ইয়েস ব্যাঙ্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে, Yes Bank তার নিজের ভাগের শেয়ার JC Flowers Asset Reconstruction Co.-তে স্থানান্তরিত করে। আর তার ফলেই সেই সংস্থাই বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার হয়ে দাঁড়ায়। তাদের পকেটেই এখন ২৪.১৯% মালিকানা। টাচ করুন: কলকাতার ১৫ লাখ বাড়িতে আর দেখা যাবে না স্টার জলসা, জি বাংলা? চিঠি গেল মমতার কাছে
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup