উত্তরাখন্ড থেকে বাংলার দূরত্বটা বেশ অনেকটাই। আর সেই উত্তরাখন্ডের নির্বাচনেও এবার প্রাসঙ্গিক বাঙালি ভোটাররা। কূমায়ুনের ইউএস নগরে জেলায় নটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতেই বাঙালি ভোটারদের যথেষ্ট সংখ্যাধিক্য রয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বাসস্থান এলাকাতেও বাঙালিদের সংখ্যা কম কিছু নয়। আর এই বাঙালি ভোটাররা যে অন্য়তম নির্ণায়ক শক্তি হতে পারে এটা আঁচ করেই কংগ্রেস গদরপুর আসনে বাঙালি প্রার্থীও ঠিক করে ফেলেছে। গদরপুরের পাশাপাশি রুদ্রপুর ও সিতারগঞ্জেও বাঙালি ভোটারদের যথেষ্ট সংখ্য়াধিক্য রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর বিগত দিনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে তাঁরা ইউএস নগর এলাকায় চলে এসেছিলেন। কিন্তু সেই সময় তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতি অত্যন্ত দুর্বল ছিল। সেকারণে ভোট বাজারে তাঁরা বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারতেন না। তবে পরবর্তী সময়ে সেই বাঙালিদের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়। আর এখন ভোটের ফলাফল ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন সেই বাঙালিরাই।
গদরপুরের দুবারের বিধায়ক তথা কংগ্রেস প্রার্থী প্রেমানন্দ মহাজন বলেন, উত্তরাখন্ড হওয়ার পরে আমাদের উপর বাড়তি নজর পড়ে রাজনৈতিক দলগুলির। রুদ্রপুরের এক বিজেপি নেতা উত্তম দত্ত বলেন, ইউএস নগরে প্রায় ১.২৫ লাখ বাঙালি থাকেন। গদরপুরে আছেন ২০-২৫ হাজার বাঙালি। রুদ্রপুরে প্রায় ৫০ হাজার ও সিতারগঞ্জে ৪০-৪৫ হাজার বাঙালি বাস করেন। রবীন্দ্রনগরের এক ব্যবসায়ী দেব বসু বলেন, আমাদের প্রতিনিধি কেউ নির্বাচিত হলে আমাদেরই সুবিধা। এদিকে একটা সময়ে সেখানকার বাঙালিদের কাস্ট সার্টিফিকেটে পূর্ব পাকিস্তান কথাটা লেখা থাকত। বর্তমান সরকার সেটা তুলে দিয়েছে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে তাঁরা।