ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল আর জামা বিলি করলে শিক্ষার মান বাড়ে না। এক সাংবাদিক বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদ্দেশে মন্তব্য প্রশান্ত কিশোরের। সম্প্রতি বিহারের শাসকদল জেডিইউ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পিকে। তার পর থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে বিহারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ‘বাত বিহার কি’ নামে একটি সংগঠন শুরু করেছেন তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে নানা বিষয়ে আক্রমণ শানান প্রশান্ত কিশোর। প্রশ্ন তোলেন, গান্ধীর অনুগামী হয়ে কী করে গোডসের ভক্তদের সঙ্গে জোট বাঁধলেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, কত বছর লালুপ্রসাদের জমানার সঙ্গে তুলনা করে রাজনীতি করবেন তিনি?
এর পরই নীতীশকে বিঁধে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর জমানায় বিহারের শিশুদের কাছে শিক্ষা পৌঁছেছে, যা লালুপ্রসাদের জমানায় ছিল না। আমি মানছি পৌঁছেছে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কী হয়েছে? ১৫ বছর আগেও বিহার শিক্ষায় দেশের সব থেকে পিছিয়ে পড়া রাজ্য ছিল এখনো তাই রয়েছে।’ এর পরই নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল আর জামা বিলি করলে শিক্ষার মান বাড়ে না।’
বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করছেন প্রশান্ত কিশোর। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম প্রধান প্রকল্প 'সবুজ সাথী'। এই প্রকল্পে স্কুলের পড়ুয়াদের বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হয়। যার জন্য প্রতি বছর বাজেটে বরাদ্দ থাকে মোটা অংক। প্রশ্ন হচ্ছে, বিহারে সাইকেল বিলি করে শিক্ষার মান না বাড়লে পশ্চিমবঙ্গে বাড়ে কী? কী বলবেন পিকে?
সাংবাদিক বৈঠকে বিহারের উদ্দীপ্ত যুবাদের তাঁর সংগঠনে যোগদানের আহ্বান জানান প্রশান্ত কিশোর। বলেন, ভবিষ্যতের বিহার গড়তে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করব আমরা।