বর্ষা বিদায়ে উত্তর ভারত জুড়ে শীতের আগমন ঘটতে শুরু করেছে গুটি গুটি পায়ে। আর এরই সঙ্গে দূষণের সমস্যা মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। প্রতিবছর মতো এবছরও দিওয়ালির পরপরই দিল্লিতে দূষের মাত্রা বাড়ল লাফিয়ে। এবছর দিল্লিতে বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তা সত্ত্বেও দিওয়ালির রাতে বাজি ফাটানো হয় দিল্লিতে। এর জেরে দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে দিল্লিতে।
মঙ্গলবার সরকারি ওয়েবসাইটে ৪০টিরও বেশি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের তথ্য দেখা যায়, রাজধানীর বাতাসের গুণগত মানের সূচক বা AQI ‘খুব খারাপ’-এ (৩০১-৪০০ AQI) নেমে যায়। দীর্ঘদিন এই মানের বাতাসে নিশ্বাস নিলে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা হতে পারে। পরিবেশবীদদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে যেভাবে দেদার বাজি ফেটেছে তার জেরেই দিল্লির দূষণ এতটা বেড়েছে। যদিও গতবছরের তুলনায় এবছর দিল্লির দিওয়ালি পরবর্তী বাতাসের দূষণ বেশ কম।
রাজধানী দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স মঙ্গলবার সকালে ছিল ৩২৬৷ এছাড়া জাতীয় রাজধানী সংলগ্ন এলাকার গাজিয়াবাদে দূষণের মাত্রা ২৮৫, নয়ডা ৩২০, গ্রেটার নয়ডা ২৯৪, গুরুগ্রাম ৩১৫ এবং ফরিদাবাদে AQI ছিল ৩১০৷ যদিও গত ৭ বছরের তুলনায় এবার দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক অনেকটাই ভালো৷ দিল্লির প্রশাসনের এবং সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশিকা সত্ত্বেও গতকাল বহু জায়গায় বাজি ফেটেছে দিল্লিতে। তবে শুধু দিল্লি নয় দীপাবলির পর সব শহরেই AQI মোটামুটি অনেকটা নেমে গিয়েছে। মুম্বইতে AQI ২০১ থেকে ৩০০-র পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তবে কলকাতায় বাতাসের মান নীচে যায়নি দিওয়ালি পরবর্তী সকালে।