মেয়েদের স্কুলে পায়জামা পরে আসায় কেন হেডমাস্টারকে বকেছিলেন? জবাব দিলেন DM

বিহার কংগ্রেস ইতিমধ্যেই টুইট করে জানিয়েছে প্রশাসন ঠিক করবে কে কি পরবেন ও খাবেন। প্রাক্তন এমপি পাপ্পু যাদব বলেন, নীতীশজী, শিক্ষকদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয় এই জেলাশাসক জানেন না।

স্কুলে হেডমাস্টার কেন পাঞ্জাবি-পাজামা পরে এসেছেন, প্রশ্ন তুলে বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক

অরুণ কুমার

কুর্তা, পায়জামা পরে স্কুলে এসেছিলেন এক শিক্ষক। বিহারের লক্ষ্মীসরাইয়ের জেলাশাসক সম্প্রতি একটি বালিকা বিদ্যালয়ের গিয়ে এক শিক্ষককে কুর্তা পায়জামা পরা নিয়ে তুমুল বকাঝকা করেন। ডিএমের সেই বক্তব্যকে ঘিরে সোশ্য়াল মিডিয়ায় একেবারে তুমুল হইচই। এনিয়ে এবার জবাব দিলেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক।

জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার সিং জানিয়েছেন, বুলগুদাম প্রাথমিক স্কুলে আমরা একঘণ্টা পরিদর্শন করেছিলাম। গিয়ে আমরা দেখি প্রধানশিক্ষক স্কুলের কোনও ব্যবস্থাই করেননি। তাঁর অফিসে একটি ফ্যান রয়েছে। ইলেকট্রিকের বাল্ব রয়েছে। কিন্তু কোনও ক্লাসরুমে সেই ব্যবস্থা নেই। মেয়েরা ঘামছে। কোভিডের কারণে অর্থ বরাদ্দ না হলেও আগের ফান্ড হয় ব্যবহার করা হয়নি নয়তো অপচয় করা হয়েছে।

আর চলে আসার সময় আমি জানিয়েছিলাম তাঁর পোশাক শিক্ষক সুলভ নয়। কারণ তিনি পড়ুয়াদের কাছে রোল মডেল হতে পারেন। আমি কুর্তা পায়জামার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু এটা সত্যি যে আমি রেগে গিয়েছিলাম। জানিয়েছেন জেলাশাসক।

এদিকে একাধিক স্কুলেই দেখা যাচ্ছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষকদের বকাঝকা করছেন। এনিয়ে রাজ্যসভার সদস্য মনোজ ঝা বলেন, সস্তার প্রচারের জন্য এসব করছেন। শিক্ষকদের মজার বিষয় হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। এই শিক্ষকদের তো সরকারই নিয়োগ করেছে। শিক্ষকদের সঙ্গে মজা করে আধিকারিকরা সরকারের সঙ্গেই মজা করছেন।

এদিকে বিহার কংগ্রেস ইতিমধ্যেই টুইট করে জানিয়েছে প্রশাসন ঠিক করবে কে কি পরবেন ও খাবেন। প্রাক্তন এমপি পাপ্পু যাদব বলেন, নীতীশজী, শিক্ষকদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয় এই জেলাশাসক জানেন না।