শ্রীরামচন্দ্র প্রসঙ্গে এক মন্তব্যের জেরে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছেন ইন্ডি জোটের ডিএমকের মন্ত্রী এসএস শিবশঙ্কর। তাঁর মন্তব্যে তিনি প্রশ্ন তুলছেন শ্রীরামচন্দ্রের ঐতিহাসিক অস্তিত্ব নিয়ে। এসএস শিশবশঙ্কর বক্তব্য রাখছিলেন তামিলনাড়ুর আরিয়ুলারে। সেখানে চোল সাম্রাজ্যের রাজা রাজেন্দ্র চোল ১ এর জন্মবার্ষিকী পালন উৎসব চলছিল। সেখানেই শ্রীরামচন্দ্রকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেন ডিএমকে-র মন্ত্রী।
তামিলনাড়ুর গানকাইগোন্ডা চোলাপুরম মন্দিরে চোল রাজার জন্মবার্ষিকী পালন চলছিল। এই মন্দির চোল রাজাদের নির্মিত। সেখানে রাজেন্দ্র চোলের জন্মশতবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে গিয়ে, তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকের মন্ত্রী এসএস শিবশঙ্কর বলেন, ‘রাজেন্দ্র চোলানের যে অস্তিত্ব ছিল, তা দেখানোর জন্য সেখানে তাঁর তৈরি পুকুর, তাঁর তৈরি মন্দির রয়েছে। লিপিতে তাঁর নাম উল্লেখ আছে এবং তাঁর ভাস্কর্য বর্তমান রয়েছে। কিন্তু শ্রীরামের অস্তিত্বের উল্লেখ আছে এমন কোনও প্রমাণ বা ইতিহাস নেই।’ একই সঙ্গে ডিএমকে মন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা তাঁকে অবতার বলেন। অবতারের জন্ম হতে পারে না। এটা করা হচ্ছে আমাদের সঙ্গে কারসাজি করার জন্য, আমাদের ইতিহাসকে আড়াল করে আরেকটি ইতিহাসকে বড় করে দেখানোর জন্য।’
এদিকে, শিবশঙ্করের বক্তব্যে তামিল রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড়। ডিএমকে মন্ত্রীর বক্তব্যকে পাল্টা তোপ দেগে বিজেপির তামিল প্রধান আন্নামালাই তুলে আনেন আরও এক ডিএমকে মন্ত্রীর বক্তব্য। আন্নামালাই তুলে ধরেন ডিএমকের আইন মন্ত্রী রেগুপাতির বক্তব্য, যিনি সদ্য বলেছিলেন, শ্রীরামচন্দ্রই ‘দ্রাবিড়ীয় মডেলের অগ্রদূত।’ রেগুপতির প্রসঙ্গ তুলে আন্নমালাই, এসএস শিবশঙ্করকে নিশানায় রেখে বলেন,' এটা প্রায় হাস্যকর যে ডিএমকে, এমন একটি দল যা মনে করে যে তামিলনাড়ুর ইতিহাস ১৯৬৭ সালে শুরু হয়েছিল, হঠাৎ করেই দেশটির সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের প্রতি ভালবাসা খুঁজে পেয়েছে।' একইসঙ্গে তিনি বলেন,' ডিএমকে মন্ত্রী থিরু রেগুপতি ও এসএস শিবশঙ্করের সম্ভবত এটি একসঙ্গে বসার, বিতর্ক করার এবং ভগবান রামের বিষয়ে একমত হওয়ার সময়। আমরা নিশ্চিত যে থিরু শিবশঙ্কর তাঁর সহকর্মীর কাছ থেকে ভগবান শ্রীরাম সম্পর্কে একটি বা দুটি জিনিস শিখতে পাবেন।'