সংসদে ঢোকার সময় ডিএমকে সাংসদ এম এম আব্দুল্লাহর গাড়ি আটকে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে সিআইএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন সাংসদ। তবে একজন সাংসদকে এভাবে আটকানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জওহর সরকার। এই ঘটনায় তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: কবে থেকে শুরু হবে ১৮তম সংসদের প্রথম অধিবেশন? পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হতে পারে কবে?
কী ঘটেছিল?
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত মঙ্গলবার দুপুর ২:৪০ টা নাগাদ। সাংসদ আব্দুল্লাহ নিজের রাজ্যসভার সদস্য লেখা গাড়িতে করে সংসদে যখন প্রবেশ করছিলেন সেই সময় সিআইএসএফ জওয়ানরা প্রবেশ পথে তাঁর গাড়ি আটকান বলে অভিযোগ। এরপর তিনি কী কারণে এবং কোথায় যেতে চাইছেন সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন জওয়ানরা। তামিলনাড়ুর ডিএমকের রাজ্যসভার সংসদ চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আমি সিআইএসএফ জওয়ানদের এরকম আচরণে আতঙ্কিত হয়েছি। তারা আমার সংসদে যাওয়ার কারণ নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন। অথচ সংসদ হল এমন একটি জায়গা যেখানে আমি জনগণ এবং তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করি।’ তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, পার্লামেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকাকালীন এরকম দুরব্যবহারের ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি।
একজন সাংসদকে এভাবে সংসদ ভবনে প্রবেশে বাধা দেওয়া যায় না তা উল্লেখ করে আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘একজন সাংসদ সরকারি কোনও কাজ না থাকলেও সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে পারেন এবং কেন তিনি প্রবেশ করতে চান বা কী কাজ রয়েছে? সে বিষয়ে তিনি একমাত্র রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছেই জবাবদিহি করতে পারেন।’ যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিআইএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জওয়ানরা শুধু সংসদকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। তিনি কোথায় যেতে চাইছিলেন তা জানতে চেয়ে তাঁকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন, তাঁকে কোনওভাবেই থামানো হয়নি। যদিও সিআইএসএফকে সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়ার পরেই একের পর এক অভিযোগ উঠেছে।
এমন ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ জহর সরকার এক্স পোস্টে লিখেছেন, ’অমিত শাহের সিআইএসএফ সংসদের নিরাপত্তা দখল করার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো সাংসদদেরও এখন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। যাদের পুরনো নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে সকলেই চেনেন তাঁদেরকেও সংসদে প্রবেশের জন্য প্রশ্ন করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।’ উল্লেখ্য, এর আগে সংসদের নিরাপত্তা দায়িত্ব ছিল দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশের হাতে। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে সংসদে হামলার ঘটনার পর সিআইএসএফকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।