পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের যুক্তির পক্ষে তথ্য চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে কেন্দ্রের আবেদন, এই তথ্য যাতে না চাওয়া হয় শীর্ষ আদালতের তরফে। অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালের মতে, এসসি/এসটি দ্বারা পূরণ করা আবশ্যক পদগুলি যাচাই করার জন্য সরকারি দফতরগুলির প্রতিটি ক্যাডারে একটি রোস্টার সিস্টেম রয়েছে। তাই সর্বোচ্চ আদালতের দুটি সংবিধান বেঞ্চের নির্দেশিকা অনুযায়ী নির্ধারিত তথ্যের প্রয়োজনীয়তা থাকা উচিত নয়। অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, 'এটি জীবনের একটি বাস্তবতা। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও আমরা এসসি/এসটি-কে যোগ্যতার এক স্তরে আনতে পারিনি।'
এর আগে বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলে, যদি চাকরির নির্দিষ্ট ক্যাডারে এসসি এবং এসটিদের পদোন্নতিতে কোটা ব্যবস্থাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করে, তাহলে সরকারকে তাদের ভিত্তিতে এর ন্যায্যতার পক্ষে যুক্তি দিতে হবে। সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারে অপর্যাপ্তভাবে প্রতিনিধিত্ব করা এবং কোটা প্রদান করা সামগ্রিক প্রশাসনিক দক্ষতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।
শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, 'দয়া করে নীতি নিয়ে তর্ক করবেন না। আমাদের তথ্য দেখান। আপনি কীভাবে প্রমোশনে রিজার্ভেশনকে ন্যায্যতা দেবেন এবং সিদ্ধান্তগুলিকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য আপনি কোন নিয়ম অবলম্বন করেছেন? দয়া করে নির্দেশ অনুযায়ী আমাদেরকে এই তথ্য জানান।'
এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের যুক্তি, ১৯৭৫ পর্যন্ত, ৩.৫ শতাংশ এসসি এবং ০.৬২ শতাংশ এসটি সরকারি চাকরিতে ছিলেন। এখন, সরকারি চাকরিতে এসসি এবং এসটি-র সংখ্যা যথাক্রমে ১৭.৫ এবং ৬.৮ শতাংশ। এখনও এই সংখ্যাটা কম তবে সংরক্ষণ ব্যস্থার যৌক্তিগতা সমর্থন করে।