ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব কে দেবেন? এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জোর চর্চা চলছে। রাহুল নাকি মমতা কার পাল্লা ভারী তা নিয়ে জোট তরজা চলছে। ইতিমধ্য়েই কংগ্রেসের একাধিক নেতা রাহুল গান্ধীর হয়ে ব্যাট ধরেছেন। আবার স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চাইছেন তিনি যাতে ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দেন। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখেছিলেন ইন্ডিয়া ওয়ান্টস মমতা দিদি। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামতটা ঠিক কী?
এবার এনিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক। তিনি বলেন, এই বিষয়ে ইন্ডিয়ার বৈঠকে আলোচনা হবে। তিনি সিনিয়র মোস্ট। তিন বারের মুখ্য়মন্ত্রী। ৪ বারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সবথেকে সিনিয়রমোস্ট তো তিনিই। তাই এনিয়ে বিশদে বৈঠক করে আলোচনা করতে হবে। কার্যত ইন্ডিয়া জোটের নেত্রী যে মমতাকেই করা দরকার সেটাই বুঝিয়ে দেন অভিষেক। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, কোনও দলকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।তৃণমূলই একমাত্র দল যারা কংগ্রেস ও বিজেপিকে হারিয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে বিজেপি ও কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় দলগুলি বার বারই খোঁচা দেয় তৃণমূলকে। কারণ তৃণমূল এখনও সেভাবে কোনও রাজ্যে দাগ কাটতে পারেনি। সেই পরিস্থিতিতে বার বার তৃণমূলকে এই একটা ইস্যুতে খোঁচা দেয় কংগ্রেস ও বিজেপি। এবার সেই খোঁচারও জবাব দিলেন অভিষেক।
এবার জেনে নিন এই ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব নিয়ে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী সম্প্রতি নিউজ ১৮এর একটা সাক্ষাৎকারে ঠিক কী বলেছিলেন?
ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, আমি ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। আমি কী করব! আই অ্যাম নট লিডিং দিস ফ্রন্ট। যারা লিডার তাদের এটা দেখা দরকার। তাদের ইউনাইটেড করে দেখা দরকার। তারা করুক আমি থাকব।
সেই সঙ্গেই মমতা বলেছিলেন, বুঝুন অবস্থা! যাদের দেখতে নারি তার চরণ ব্যাঁকা। আমায় দেখতেই পারে না, এসব কথা বলছে। আমি চাই না। আমি বাংলার মাটি ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। এখানেই জন্মেছি। শেষ নিঃশ্বাস এখানেই ত্যাগ করব। বাংলাকে আমি ভালোবাসি। আমায় অন্য কিছু হাতছানি দিয়ে ডাকলেও পাবে না। আমি এটা মনে করি আমি এখানে বসেও কিছুটা চালিয়ে যেতে পারি।
মমতা বলেছিলেন,আমার ইস্যুতো আমদানি রফতানি নয়, আমার ইস্যু তো জামদানি। আমার ইস্যু বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি।
তবে বাংলার কংগ্রেস নেতৃত্ব পরবর্তী সময়ে বার বার বলার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নন।
এদিকে এক দেশ এক ভোট নিয়েও তাঁর মতামত দেন অভিষেক। তিনি বলেন, বাংলায় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট হয়েছিল আট দফায়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট হয়েছিল সাত দফায়। দেড় মাস আগে ছোট্ট ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট হয়েছে দু দফায়। যে সরকার সাত দফা, আট দফায় বিধানসভা লোকসভা ভোট করে তারা একদফায় ভোট করবে কীভাবে?