টেবিলে সাজানো রয়েছে ঘড়ির ব্যাটারি, ব্লেড, পেরেক এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ধাতব বস্তু। আপাতভাবে তা দেখে কোনও দোকান বলে মনে হলেও আসলে এই সমস্ত ধাতব বস্তু উদ্ধার হয়েছে এক কিশোরের পেট থেকে। সবমিলিয়ে প্রায় ৫৬টি মতো ধাতব পদার্থ যুবকের পেট কেটে বের করেছেন চিকিৎসকরা। যা দেখার পর হতবাক সকলেই। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে। তবে অস্ত্রপোচারের পরেও ওই কিশোরকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: যুবকের পেট কেটে জীবন্ত আরশোলা বের করলেন চিকিৎসকরা, প্রাণে বাঁচলেন রোগী
জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার পেটে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাকে হাথরসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে জয়পুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পরে রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, তারপরেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাকে আলিগড়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আল্ট্রা সাউন্ডের পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন কিশোরের পেটের ভিতরে রয়েছে ১৯ টি ধাতব পদার্থ। এরপর চিকিৎসকরা তাকে নয়ডার একটি হাসপাতালে রেফার করেন। তবে সেখানে চিকিৎসকরা আবারও পরীক্ষা করে দেখতে পান তার পেটে ৫৭টি ধাতব বস্তু রয়েছে। শেষমেষ ছেলেটিকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হয়।সেখানে ২৭ অক্টোবর তার পেটের অস্ত্রোপচার করা হয়।
সেখানেই কিশোরের পেট থেকে ঘড়ির ব্যাটারি, ব্লেড, পেরেক এবং অন্যান্য ধাতব কণা সহ ৫৬টির ধাতব বস্তু বের করা হয়েছিল। তবে কিশোরকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই কিশোর।
ছেলেটির পরিবারের এক সদস্য বলেন, দিল্লির এই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর তার পেট থেকে প্রায় ৫৬টি ধাতব বস্তু বের করা হয়। পরবর্তী সময়ে আরও তিনটি বস্তু করা হয়। তা দেখে অবাক হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিশোরের বাবা বলেন, ‘ডাক্তাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সম্ভবত ভাগ্য অন্যথায় চেয়েছিল। আমার ছেলে দিল্লির হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের একদিন পরে মারা যায়। কারণ তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং তার রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়।
তবে কীভাবে এই জিনিসগুলি তার পেটে গিয়েছিল তা বুঝে উঠতে পারছেন না কিশোরের পরিবার এবং চিকিৎসকরা। কারণ এগুলি খেয়ে থাকলেও তার মুখে বা গলায় আঘাতের কোনও না কোনও চিহ্ন থাকত বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, তা ছিল না।