সংরক্ষণের উর্ধ্বসীমা ৫০ শতাংশ রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, সে বিষয়ে এবার রাজ্যগুলির মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, সংরক্ষণের উর্ধ্বসীমা যেন ৫০ শতাংশ অতিক্রম করে না যায়। যদিও ইন্দিরা সহায় মামলায় ৯ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, একমাত্র ব্যতিক্রমী ঘটনার ক্ষেত্রে এই সংরক্ষণের সীমা ৫০ শতাংশ অতিক্রম করেও যেতে পারে। এবার মহারাষ্ট্রে মারাঠাদের সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালত সব রাজ্যের মতামত জানতে চাইল।
সোমবার ৫ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, সংরক্ষণ উর্ধ্বসীমা ৫০ শতাংশ থাকবে নাকি তা আরও বাড়বে সে বিষয়ে বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। তার জন্য সব রাজ্যেকে আদালত নোটিশ পাঠাচ্ছে। উল্লেখ্য, ৫ সদস্যের ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এল এন রাও, বিচারপতি এস এ নাজির, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি ১৫ মার্চ।তবে ২৫ মার্চের মধ্যে শুনানিপর্ব শেষ হবে বলেও আদালত সূত্রে খবর।
২০১৮ সালে মারাঠা সংরক্ষণ আইন পাশ হয়। যা ১৬ শতাংশ মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলে। মারাঠাদের জন্য ওই ১৬ শতাংশ ব্যবস্থা হলে তা মোট ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের উর্ধ্বসীমা অতিক্রম করে যাবে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির কাছ থেকে সর্বোচ্চ আদালতের এই মতামত চাওয়া অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সংবিধানের ৩৪২এ ধারার প্রসঙ্গটিও ওঠে। সংবিধানের এই ধারা বলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীদের সংরক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে আইন আনার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। এই বিষয়েও এবার সর্বোচ্চ আদালত রাজ্যগুলির মতামত জানতে চেয়েছে। এই আইন বিবেচনা করার আগে সব রাজ্যের মতামত নেওয়ার কথা বলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগী।