‘কেউ যদি কিছু না করেন, অর্ধেক সময় বিদেশে থাকেন, তাহলে রাজনীতি কীভাবে হবে?’ মুম্বইয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেছেন তিনি।
মুম্বইয়ের বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে বৈঠকে মমতাকে বিরোধী ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। বিজেপিকে পরোক্ষভাবে বিভিন্ন দলগুলি মদত জোগাচ্ছে বলে দাবি করেন এক ব্যক্তি। সেই প্রেক্ষিতে মমতা বলেন, ‘একটি পরিবারে সবাই একইরকমের হন না। একটি প্রতিষ্ঠানে সবাই যে একইরকম, তা আমরা মানি না।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের যে গণতন্ত্র আছে, তাতে শুধু বিরোধীরা জোটবদ্ধ হয়ে গেলেই হবে না। সমস্যাটা কোথায়? আমাদের কেন ঘুরতে হয়? এইজন্যই। আমরা তো বাংলায় ঠিক আছি। এখানে-ওখানে যাওয়ার কী দরকার আমার! আমি এইজন্যই ঘুরছি, যাতে আমি গেলে আমার সঙ্গে এই লোকেরাও যাবেন। তাহলে প্রতিযোগিতা বাড়বে। দ্বিতীয়ত, কেউ যদি কিছু না করেন, অর্ধেক সময় বিদেশে থাকেন, তাহলে রাজনীতি কীভাবে হবে? রাজনীতিতে আপনাকে লাগাতার পরিশ্রম করে যেতে হবে।’ একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি বিজেপির সুরেই রাহুলকে বিঁধলেন মমতা?
শুধু তাই নয়, তৃণমূলকে জাতীয় স্তরে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলতে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে হাতিয়ার করেন মমতা। অন্যান্য আঞ্চলিক দলের নিরিখে তৃণমূল যে আলাদা, তা প্রমাণে মরিয়া হয়ে মমতা বলেন, ‘এটায় আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠোমোর পক্ষে। আমি চাই যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠোমো মজবুত হোক। আঞ্চলিক দলগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আঞ্চলিক দলগুলিই জাতীয় দল তৈরি করে। যদি আঞ্চলিক দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে বিজেপিকে হারানো একেবারে সহজ কাজ। কয়েকটি রাজ্যে আঞ্চলিক দল ক্ষমতায় আছে। কিন্তু সিবিআই, ইডির মতো এজেন্সির জন্য তারা ভয় পাচ্ছে। আমরা যে লড়াই করতে পারি, ওরা সেটা পারে না।’