ভাবা যায়! অনেক সময় জলের ট্য়াঙ্কে কেঁচো, পোকামাকড় পাওয়ার কথা শোনা যায়। তবে এবার একেবারে জলের ওভারহেড ট্যাঙ্কে কুকুর মরা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তামিলনাড়ুর ভিরুদুনগর জেলায় একটি ওভারহেড ট্যাঙ্কে এই ধরনের কুকুর মরা পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। এদিকে এই জলের ট্যাঙ্ক থেকে গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। সেই ট্যাঙ্কের জলেই মিলেছে কুকুর মরা।
বছর খানেক আগে জল জীবন মিশনের আওতায় এই জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছিল। প্রায় ২৫০ বাড়িতে জল সরবরাহ করা হয় এই ট্যাঙ্ক থেকে। জলের ট্যাঙ্কের অপারেটর প্রথমে এই কুকুর মরাটিকে দেখতে পান। কীভাবে তিনি বুঝতে পারলেন ট্যাঙ্কের মধ্যে কুকুর মরা রয়েছে?
আসলে তিনি ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। মাঝেমধ্যেই তিনি ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করেন। কিন্তু এদিন ট্যাঙ্ক খুলতেই একেবারে মাথায় হাত। পানীয় জলের ট্যাঙ্কের জলে কুকুর মরে ভাসতে দেখে চিৎকার শুরু করে দেন তিনি। এরপর স্থানীয় থানায় খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও এলাকায় চলে আসেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অতটা উঁচুতে জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে মরা কুকুর গেল কীভাবে?
তবে এই ঘটনার পেছনে কে বা কারা রয়েছে সেটাই বড় প্রশ্ন। এদিকে প্রতি মাসে ৫ ও ২০ তারিখে এই ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা হয়। সেই মতোই ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন অপারেটর। কিন্তু ট্যাঙ্ক খুলতেই তিনি হতবাক। এদিকে কুকুরটি মরে পচে একেবারে গন্ধ বের হয়ে গিয়েছিল।
এলাকায় সব মিলিয়ে চারটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক রয়েছে। সেখান থেকে চারপাশের অন্তত ৬টি রাস্তায় জল সরবরাহ করা হয়। সব মিলিয়ে অন্তত ২৫০টি বাড়িতে জল সরবরাহ করা হয় এখানকার ওভারহেড ট্যাঙ্ক থেকে।
এদিকে যেদিন ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করা হয় সেদিন জল সরবরাহ বন্ধ থাকে। তবে সেদিন বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় বাসিন্দাদের জন্য। মোটামুটি রবিবার করে ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এদিকে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার সময় দেখা যায় পচা গন্ধ বের হচ্ছে।তারপরই দেখা যায় জলের ট্যাঙ্কে মরা কুকুর রয়েছে। দ্রুত সেটিকে তুলে ফেলা হয়। তারপর গোটা ট্যাঙ্কটিকে ভালো করে পরিষ্কার করা হয়। পরে পঞ্চায়েতের তরফে ভালো করে ট্য়াঙ্কটিকে পরিষ্কার করা হয়। আপাতত ঠিক করা হয়েছে ওই ট্যাঙ্ক থেকে আর জর সরবরাহ করা হবে না। কয়েকদিন পরে সেখান থেকে জল দেওয়া হবে।