কুড়িয়ে পাওয়া কুকুরছানার কামড়ে জলাতঙ্কে মৃত্যু হল ছত্তিশগড়ের রায়পুর জেলার বীরগাঁও পুর নিগমের প্রাক্তন কর্তা শেখর কুশওয়াহার (৫৩)। তাঁর একমাত্র ছেলে শুভমের অনুরোধে কুকুরছানাটিকে বাড়িতে রাখতে দিয়েছিলেন শেখর। কিন্তু তাকে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়নি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কুকুরছানাটিকে বাড়ি নিয়ে আসার তিন দিনের মাথায় সেটি শেখরকে কামড়ায়। তিন দিন পরে তিনি জলাতঙ্কে ভোগার পরে গত মঙ্গলবার মারা যান।
বাবাকে হারিয়ে ভেঙে পড়া শুভম জানিয়েছেন, ‘প্রায় তিন মাস আগে কারও থেকে জানতে পারি যে, আমাদের বাড়ির কাছে একটি বেওয়ারিশ কুকুরছানা মেটাল পার্ক রোডে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানে গিয়ে আমি মাস সাতেকের ছানাটিকে বাইকে চাপিয়ে বাড়ি নিয়ে আসি। বাবাকে বলি, কুকুর ছানাটিকে পুষতে চাই। তিনি রাজি হন।’
কুকুরছানাটিকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু তিন দিন পরে বাবাকে সেটি কামড়ালে ঠিক করি, যেখান থেকে ওকে এনেছিলাম, সেখানেই রেখে আসব। তিনি জানিয়েছেন, কুকুর কামড়ানোর পরে তাঁর বাবাকে টিটেনাস ইঞ্জেকশন দেওয়া হলেও পরবর্তী পর্যায়ের চিকিৎসা ঠিকঠাক ভাবে আর করা হয়নি।
ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠ বিশাল শর্মা হিন্দুস্তান টাইমস-কে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার শেখর কুশওয়াহাকে সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হলে তাঁর শরীরে জলাতঙ্ক ধরা পড়ে। তাঁকে সময় মতো ভ্যাক্সিন দেওয়া হলে বাঁচানো যেত বলে আক্ষেপ করেন শর্মা।
বাবার শেষকৃত্য করতে আপাতত প্রয়াগরাজে রয়েছেন শুভম। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘বাবা আমার সব কিছু ছিলেন। আমার অনুভূতি ব্যাখ্যা করতে পারব না।’
ছোট থেকেই কুকুরপ্রেমী শুভম বাবার মৃত্যুর জন্য পরোক্ষে নিজেকেই দায়ি করছেন।