সময়সীমা শেষ হওয়ার একদিন আগেই আফগানিস্তান পুরোপুরি ছেড়ে বিদায় নেয় আমেরিকা। মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়তেই তালিবানি উল্লাসের সাক্ষী থাকে আফগান রাজধানী। শূন্যে গুলি চালানোর পাশাপাশি বিমানবন্দরের দখল নেয় তালিবান। অত্যাধুনিক অস্ত্র-সহ তালিবান জঙ্গিরা হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে হ্যাঙ্গারে প্রবেশ করে। সেখান রাখা সাতটি সিএইচ-৪৬ হেলিকপ্টারের দখল নেয় তালিবান। পাশাপাশি তাদের নজরে পড়ে পকয়েক ডজন সারমেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে যায়, তালিবানের দয়ায় কয়েক ডজন কুকুর কাবুল বিমানবন্দরেই খাঁচা বন্দি অবস্থায় রেখে চলে আসে আমেরিকার সেনা। তবে এবার এই দাবি ওড়াল পেন্টাগন।
একটি টুইট করে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি দন কার্বি দাবি করেন, কাবুল বিমানবন্দরে যেই সারমেয়দের ছবি ভাইরাল হয়েছে, তা মার্কিন সেনা রেখে আসেনি। কার্বির দাবি, 'কাবুল স্মল অ্যানিম্যাল রেসকিউ' নামক এক সংগঠনের তত্ত্বাবধানে ছিল সেই কুকুরগুলি। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাবুল 'কাবুল স্মল অ্যানিম্যাল রেসকিউ'-র তরফে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত কুকুরগুলোকে আফগানিস্তান থেকে বহন করার জন্য আমরা একটি বিমান ঠিক করেছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত প্রাণী এবং তাদের কেয়ারটেকরদের নিরাপদে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে আমরা হতাশ।
প্রসঙ্গত, কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে তালিবানের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বদরি ৩১৩ ইউনিট। মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ার পর তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভ ভিডিয়ো-তে বলেন, বিশ্বের এবার শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং এটা জয়ের আনন্দ উপভোগ করার মুহূর্ত। নিজেদের আধিপত্য কায়েমের প্রমাণ হিসেবে তালিবান নেতাদের রানওয়ে দিয়ে হাঁটতেও দেখা গিয়েছে