জম্মু ও কাশ্মীরে খুব তাড়াতাড়ি কার্যকর করা হবে আবাসন আইন। তার পরেই চালু হবে জমি আইন। শনিবার এই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের জেরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলবাসীর আশঙ্কা দূর করতে আবাসন ও জমি আইন চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। পাশাপাশি, নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরে অঞ্চলের নবীনদের জন্য প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি সংখ্যায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের জেরে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারে স্থানীয় জমিমালিক ও বেকার নবীনদের উদ্বেগ নিরসনে পদক্ষেপ করতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল একাধিক রাজনৈতিক দল। শনিবার নয়াদিল্লিতে সিএসআইআর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন, জম্মু এবং কানাডার ফার্মাকিউটিক্যাল সংস্থা ইন্দাস স্ক্যান-এর মধ্যে মউ সাক্ষর অনুষ্ঠানে এসে এই ঘেোষণা করেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
এ দিন তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন, গত ৫ বছরে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সাক্ষী উত্তর-পূর্ব ভারতের মতোই গুরুত্ব দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে। যাঁদের মনে এই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, কিছু দিনের মধ্যেই তাঁরা এ সব কিছু ঘটতে দেখবেন।’
মন্ত্রীর দাবি, এযাবত্ জারি করা নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ফলে এবার কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে।
জিতেন্দ্র সিং জানান, ‘বহু রাজনীতিক বেকার হয়ে পড়েছেন। গতকাল শুনলাম তাঁদের একজন নবীনদের কর্মসংস্থান সম্পর্কে বলছেন। তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই, প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি পরিমাণ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, তবে তা নিয়ম মেনে এবং পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই হবে। আইন সম্পর্কে নোটিশ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।’
প্রসঙ্গত, এর আগের সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের নবীনদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আগাগোড়া অবহেলা করেছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেন জাতীয় প্যান্থার্স পার্টির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হর্ষ দেব সিং। তাঁর দাবি, ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে ৫০ হাজার চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।
তার জবাবে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘সব কিছুই হবে। আপনাদের সরকার যেমন নবীনদের ভবিষ্যত্ নষ্ট করতে সুপারিশে নিয়োগ চালু করেছিল, সে রকম কিছু এবার হবে না। যাঁরা সে দিন চাকরির প্রত্যাশী ছিলেন, আজ তাঁদের গড় বয়স ৩৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে।’