মেহুল চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে। তা নিয়ে ইতিমধ্যে ডমিনিকার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। সংবাদসংস্থা এএনআইকে একথাই জানিয়েছেন অ্যান্টিগা এবং বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনি। যে দেশে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ছিলেন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) ১৩,৫০০ কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত চোকসি।
ব্রাউনি জানান, আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে রাজি হয়েছে ডমিনিকা। তাঁকে ঢুকতেও দেবে না অ্যান্টিগা। বরং চোকসিকে যাতে অ্যান্টিগায় ফেরত পাঠানো না হয়, সেজন্য ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী রোজভেল্ট স্কেরিটকে আর্জি জানিয়েছেন। অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘আমরা আর্জি জানিয়েছে যে ওকে (চোকসি) আটক করে রাখা হোক এবং তাঁকে ভারতে পাঠানোর জন্য ডমিনিকা সরকারের তরফে ব্যবস্থা করা হোক।’
গত রবিবার অ্যান্টিগা থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছিলেন চোকসি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রবিবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণাংশের এলাকায় চোকসিকে গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল। তিনি যে গাড়িতে ছিলেন, সেটি উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁর খোঁজে অভিযান শুরু করে অ্যান্টিগা পুলিশ। শেষপর্যন্ত ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ডমিনিকায় চোকসির খোঁজ মেলে। ব্রাউনি জানান, বেআইনিভাবে অ্যান্টিগা থেকে পালিয়ে মারাত্মক ভুল করেছেন চোকসি।
অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁকে ডমিনিকায় পাওয়া গিয়েছে। উনি বেআইনিভাবে সম্ভবত বোটে করে দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করেছিলেন। অ্যান্টিগা এবং ভারত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে ডমিনিকার সরকার। তাঁকে অ্যান্টিগায় ফেরত না পাঠানোর জন্য ডমিনিকা প্রশাসনকে আর্জি জানানো হয়েছে। যে অ্যান্টিগায় নাগরিক হিসেবে তাঁর আইনি এবং সাংবিধানিক অধিকার আছে। তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য আমরা নির্দিষ্টভাবে ভারতীয় এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছি।’
উল্লেখ্য, ডমিনিকা সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক আছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ডমিনিকাকে ৩৫,০০০ ডোজ করোনা টিকাও পাঠিয়েছিল ভারত। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী। যে দেশের জনসংখ্যা ৭২,০০০-এর মতো।