মায়ানমার থেকে আগত উদ্বাস্তুদের বুঝিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিল মণিপুর প্রশাসন।সম্প্রতি মণিপুর স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া জেলার প্রশাসনের কাছে গোপন চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়, নতুন করে যেন উদ্বাস্তু শিবির খোলা না হয়।পাশাপাশি উদ্বাস্তদের খাবার জোগান বা থাকার বন্দোবস্ত যেন না করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মণিপুর প্রশাসন চান্দেল, তেঙনাওপল, কামজঙ, উরুল, চুরাচাঁদপুর জেলার প্রশাসনের কাছে সম্প্রতি উদ্বাস্তদের নিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সেই চিঠিতে মায়ানমার থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।সেই চিঠিতে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, নতুন করে উদ্বাস্তুদের জন্য যেন ক্যাম্প না খোলা হয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, যারা এদেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করবেন তাদের যাতে বুঝিয়ে সুজিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে কেউ মারাত্মকভাবে আহত হন, তাদের ক্ষেত্রে মানবিকতার দিক বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মায়ানমারে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার পর প্রচুর মানুষ মায়ানমার থেকে মণিপুরে আশ্রয় নিয়েছে।তাঁদের বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়।মোরে শহরের বাসিন্দারা তাঁদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন।এক দিন আগেই ৮ জন মায়ানমার বাসিন্দাকে সুস্থ করে ফের তাঁদের দেশে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে। ফলে মায়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হলে তার প্রভাব যে ভারতের ওপর পড়বেই তা বলার অপোক্ষা রাখে না। মণিপুর সরকার উদ্বাস্তুদের জন্য কিছুটা হলেও কড়া পদক্ষেপ নিলেও মিজোরাম সরকার অবশ্য উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়া ও খাবার জোগান জারি রেখেছে।যদিও কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু মিজোরাম, মণিপুর সহ ৪ সীমান্ত রাজ্যগুলিকে অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছে।