এর আগে পেনসিলভেনিয়াকাণ্ডে অভিযোগ উঠেছিল, শুটারকে দেখে তা পুলিশে জানালেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আর এবার স্থানীয় আরও দুই প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করলেন, তাঁরা সেই শুটারকে মঞ্চের কাছেই এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। তাঁদের মতে, হয়ত ট্রাম্পকে গুলি করার জন্যে কোন জায়গাটি উপযুক্ত হবে, তা খোঁজার জন্যে ঘুরছিল সেই শুটার। তবে থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস নামে চিহ্নিত সেই যুবক এত অনয়াসে কীভাবে এক ছাদ থেকে আরেক ছাদে যাচ্ছিল? এবং সেই সময় ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট বা পুলিশই বা কি করছিল? নতুন করে এই সব প্রশ্ন উঠে বিতর্ক তৈরি হয়ে গেল। (আরও প়ড়ুন: 'আমাদের মধ্যে বিরোধ থাকতে পারে, তবে আমরা শত্রু নই', ট্রাম্পকে নিয়ে বললেন বাইডেন)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা কি কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র? তদন্তে নেমে মুখ খুলল FBI
এদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে একটি সাক্ষাৎকারে এক যুবক দাবি করেন, ট্রাম্পের ভাষণ শুরু হওয়ার পাঁচ-সাত মিনিট পরে দেখতে পান যে হামাগুড়ি দিয়ে তাঁদের পাশে থাকা বাড়ির ছাদে একজন উঠছে। তাঁরা যেখানে ছিলেন, সেখান থেকে ওই বাড়িটার দূরত্ব মেরেকেটে ৫০ ফুট হবে। ওই ব্যক্তির হাতে বন্দুক ছিল। ওই যুবকের কথায়, 'আমরা পুলিশকে বলি যে এই দেখুন, ওখানে হাতে বন্দুক নিয়ে একজন আছে। পুলিশ যেন দিশাহীন ছিল। ওরা যেন বুঝতেই পারছিল না, আমরা কী বলছি। কেউ যে হামাগুড়ি দিয়ে যাচ্ছে, সেটা যেন ওরা দেখতেই পাচ্ছিল না। আমরা বলতে থাকি যে আমরা এখান থেকে দেখতে পাচ্ছি। ও হামাগুড়ি দিয়ে যাচ্ছে।' তাঁর প্রশ্ন, 'কেন সেই সময়ই ট্রাম্পকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হল না? দু'তিন মিনিট ধরে আমি ছাদের দিকে আঙুল দেখিয়ে রেখেছিলাম। উপর থেকে আমাদের দিকে দেখছিলেন সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা। আমি শুধু আঙুল তুলে দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর পাঁচটা গুলির আওয়াজ শোনা গেল।' তিনি আরও বলেন, 'যেখানে ট্রাম্প জনসভা করছিলেন, সেটা তো খুব বড় এলাকা নয়। তাহলে কেন প্রতিটি বাড়ির ছাদে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের রাখা হল না?' (আরও পড়ুন: রাজ্যের খরচ হবে ৪১৭৭০ কোটি, ডিএ মামলায় জয় পেলে কার পকেটে ঢুকবে কত? বুঝুন হিসেব)
আরও পড়ুন: '৩১% হারে দিতে হবে মহার্ঘ ভাতা…', ডিএ মামলায় ৬-১ ব্যবধানে এগিয়ে সরকারি কর্মীরা
উল্লেখ্য, পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভা চলাকালীন গুলি চলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে। সেই ঘটনার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে হামলাকারী বন্দুকবাজকে খতম করা হয় সঙ্গে সঙ্গেই। অপরদিকে এই গুলি চালানোর ঘটনায় জনসভায় আগত একজনের মৃত্যু হয়। আরও একজন গুরুতর ভাবে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি আছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন এবং গুলির শব্দ শুনে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাঁকে ঘিরে ফেলছেন। তখন ট্রাম্পের মুখে রক্তাক্ত। সেই অবস্থায় তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে তদন্তে নেমে সেই বন্দুকবাজকে ক্রুকস হিসেবে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা।