কয়েকদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরে হামলা হয়েছিল। এক বন্দুকবাজ তাঁর মাথা তাক করে গুলি চালিয়েছিল। অল্পের জন্যে বেঁচে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। গুলিটি তাঁর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। আর সেই ঘটনার জেরে এবার মার্কিন কংগ্রেসের ওভারসাইট কমিটির সামনে হাজির হতে হল সিক্রেট সার্ভিস প্রধান কিম্বারলি চিয়েটলকে। এই আবহে রিপাবলিকানদের পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটরাও কিম্বারলির পদত্যাগের দাবি করলেন। ওভারসাইট কমিটির প্রধান তথা রিবাপলিকান জেমস কোমর এবং কমিটিতে ডেমোক্র্যাটদের সবচেয়ে শীর্ষ নেতা জেমি রাস্কিন এক সুরে তোপ দেগেছেন কিম্বারলির উদ্দেশে। (আরও পড়ুন: Budget 2024 Live: রেকর্ডের পথে নির্মলা, কোন কোন প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়বে বাজেটে?)
আরও পড়ুন: Share Market LIVE: শেয়ার বাজারে লেনদেনের প্রথম কয়েক মিনিটে সেঞ্চুরি পার সেনসেক্স
উল্লেখ্য, কমিটিতে থাকা জেমি রাস্কিন এবং জেমস কোমর প্রায় কোনও ইস্যুতেই একে অপরের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন না। তবে এই ক্ষেত্রে উভয় নেতাই কিম্বারলির ওপর নিজেদের বিরক্তি প্রকাশ কেন। দু'জনেই দাবি করেন, সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন কিম্বালি। এই আবহে তাঁর পদত্যাগের দাবি তোলেন দুই পক্ষই। তবে কিম্বারলি সেই শুনানি চলাকালীন পালটা দাবি করেন, তিনি মনে করেন, বর্তমানে সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান হিসেবে তিনিই সবচেয়ে ভালো ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় পর্যাপ্ত তথ্য দিতে না পারায় কিম্বারলির বিরুদ্ধে শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সদস্যরা। (আরও পড়ুন: বিশেষ নজর ডিফেন্স স্টকে, বাজেটের দিন কিনতে পারেন কোন কোন শেয়ার?)
আরও পড়ুন: মোদী জমানায় আগের বাজেটগুলিতে সেনসেক্স উঠেছিল না পড়েছিল? একনজরে পরিসংখ্যান
রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো বন্দুকবাজের বয়স মাত্র ২০ বছর ছিল। তাঁর নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো বন্দুকবাজের বয়স মাত্র ২০ বছর ছিল। তাঁর নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। এদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার দিন এই নিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছিলেন, ট্রাম্পের ভাষণ শুরু হওয়ার পাঁচ-সাত মিনিট পরে দেখতে পান যে হামাগুড়ি দিয়ে তাঁদের পাশে থাকা বাড়ির ছাদে একজন উঠছে। তাঁরা যেখানে ছিলেন, সেখান থেকে ওই বাড়িটার দূরত্ব মেরেকেটে ৫০ ফুট হবে। ওই ব্যক্তির হাতে বন্দুক ছিল। তিনি বলেন, 'আমরা পুলিশকে বলি যে এই দেখুন, ওখানে হাতে বন্দুক নিয়ে একজন আছে। পুলিশ যেন দিশাহীন ছিল। ওরা যেন বুঝতেই পারছিল না, আমরা কী বলছি। কেউ যে হামাগুড়ি দিয়ে যাচ্ছে, সেটা যেন ওরা দেখতেই পাচ্ছিল না। আমরা বলতে থাকি যে আমরা এখান থেকে দেখতে পাচ্ছি। ও হামাগুড়ি দিয়ে যাচ্ছে। কেন সেই সময়ই ট্রাম্পকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হল না? দু'তিন মিনিট ধরে আমি ছাদের দিকে আঙুল দেখিয়ে রেখেছিলাম। উপর থেকে আমাদের দিকে দেখছিলেন সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা। আমি শুধু আঙুল তুলে দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর পাঁচটা গুলির আওয়াজ শোনা গেল। যেখানে ট্রাম্প জনসভা করছিলেন, সেটা তো খুব বড় এলাকা নয়। তাহলে কেন প্রতিটি বাড়ির ছাদে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের রাখা হল না?' এই ব্যক্তি ছাড়াও আরও একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, শুটারকে তারা আগেই দেখে পুলিশের কাছে নালিশ জানিয়েছিল। তবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি তা নিয়ে।