পেনসিলভেনিয়ায় এক নির্বাচনী জনসভা চলাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরে হামলা চালানো হয়েছিল। ১২০ মিটার দূরে একটি বাড়ির ছাদ থেকে গুলি করা হয়েছিল ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে। সেই গুলি ট্রাম্পের কান ঘেঁষে চলে গিয়েছিল। সেই মুহূর্তের একটি ছবি তুলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ডগ মিলস। সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাতাস চিড়ে বুলেট ট্রাম্পে একদম কাছে এসে পৌঁছেছে।
এদিকে এছাড়াও ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে যে ট্রাম্প মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন। তাঁকে ঘিরে অনেকগুলি পা (সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের)। আর ট্রাম্পের গাল গড়িয়ে রক্ত পড়ছে কান থেকে। এদিকে ট্রাম্পের আরও একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, তিনি দাঁড়িয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত সমর্থকদের উদ্দেশে উঁচিয়ে তুলেছেন। তাঁকে ঘিরে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে মার্কিন পতাকা।

উল্লেখ্য, পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভা চলাকালীন গুলি চলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে। সেই ঘটনার পরই রক্তাক্ত অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিক্রেট সার্ভিসের তরফ থেকে জানানো হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন সুস্থ রয়েছেন। ট্রুথ সোশ্যালে এই হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন ট্রাম্প। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই নিয়ে পোস্ট করে লেখেন, 'আমার ডান কানের উপরের অংশ ভেদ করে একটি গুলি চলে গিয়েছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঠিক নেই। আমি একটি বিকট শব্দ ও গুলির শব্দ শুনতে পাই। এবং সঙ্গে সঙ্গে বুলেটটি আমার চামড়া ভেদ করে বেরিয়ে যায়। এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।'
এদিকে ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই। এই ঘটনার এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ট্রাম্প ভাষণ দিতে দিতেই আচমকা গুলি আওয়াজে কেঁপে উঠল সেই জায়গা। সঙ্গে সঙ্গে একজন স্নাইপার গুলি করলেন সেই বন্দুকবাজের দিকে। পরে অপর এক ভিডিয়োতে দেখা যায়, একটি বাড়ির ছাদে লুটিয়ে পড়ে আছে একজন। দাবি করা হচ্ছে, সেই ব্যক্তি সন্দেহভাজন শুটার। এদিকে এই ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো বন্দুকবাজের বয়স মাত্র ২০ বছর ছিল। ট্রাম্পের মঞ্চ থেকে মাত্র ১২০ মিটার দূরে একটি বাড়ির ছাদে ছিল সেই শুটার। নিউইয়র্ক পোস্টের রিপোর্টে দাবি করা হয়, সেই মৃত যুবকের নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। এদিকে কী কারণে এই হামলা চালানো হয়, তা নিয়ে তদন্ত জারি আছে।