মিডটার্ম নির্বাচনের পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে তিনি ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। এরই মধ্যে আবার ২০২১ সালে সংঘটিত ক্যাপিটল হিল দাঙ্গা নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। এই আবহে এবার দাঙ্গা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগকে ‘ভুয়ো’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্পের পালটা অভিযোগ, তিনি যাতে ২০২৪ সালের নির্বাচনে না লড়তে পারেন, তাই নাকি এই সব অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাম্প আবারও দাবি করেন, তিনি নাকি ২০২০ সালের নির্বাচনে অনায়াসে জিতেছিলেন। প্রসঙ্গত, ক্যাপিটল দাঙ্গার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেশনাল কমিটি সোমবার প্রস্তাব দেয় যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা দায়ের করা হোক। এরপরই পালটা তোপ দেগেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, ‘৬ জানুয়ারির তদন্তে নিয়োযিত অনির্বাচিত কমিটি অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট। তারা ইতিমধ্যেই ভুয়ো অভিযোগ জমা দিচ্ছে। বিচারের নামে ইমপিচমিন্টের আকারে প্রতারণা করছে তারা।’ ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে জিতেছি।’ তাঁর দাবি, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা করার এই পুরো প্রক্রিয়াটি ইমপিচমেন্টের মতোই - আমাকে এবং রিপাবলিকান পার্টিকে পাশ কাটিয়ে দেওয়ার একটি পক্ষপাতমূলক প্রচেষ্টা।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলে সিলমোহর দিতে ইলেক্টোরাল কোলাজদের নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি। সেদিনই ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিল হামলা চালিয়েছিল। দরজা ভেঙে মার্কিন কংগ্রেসের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল তারা। অভিযোগ, ট্রাম্পের উস্কানিতেই এই কাণ্ড ঘটেছিল। এমনকী ক্যাপিটল হামলার নথি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। সেই সহিংসতার তদন্ত করছে কংগ্রেসের নির্বাচিত কমিটি। এদিকে এই দাঙ্গার প্রেক্ষিতে প্রাউড বয়েজ এবং ওথ কিপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্ল রেসিন। প্রসঙ্গত, অতি দক্ষিণপন্থি এই সংগঠনগুলি ট্রাম্পপন্থী হিসেবে পরিচিত।