গাজা উপত্যকায় চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান নিয়ে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পথে। আলোচনার পর ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহারের প্রাথমিক ধাপে সম্মত হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। তাঁর কথায়, এই প্রস্তাব হামাসের কাছেও পাঠানো হয়েছে। তারা নিশ্চিত করলে যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাজায় হামলা ইজরায়েলের, মৃত ৬
নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ইজরায়েল প্রাথমিক প্রত্যাহারের বিষয়ে রাজি হয়েছে। আমরা সেই প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠিয়েছি। হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। পণবন্দিদের মুক্তি এবং বন্দি বিনিময়ও একসঙ্গে চলবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপের প্রত্যাহারের পথে আমরা এগোব, যা এই তিন হাজার বছরের সংঘাতের অবসানের দিকে নিয়ে যাবে।’
ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে তাঁর আগের সতর্কবার্তার কয়েক ঘণ্টা পর। এর আগে তিনি হামাসকে উদ্দেশ করে লিখেছিলেন, ‘পণবন্দিদের মুক্তির সুযোগ তৈরি করতে ইজরায়েল সাময়িকভাবে বোমা হামলা বন্ধ রেখেছে। এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু হামাসকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিলম্ব বা এমন কোনো ফলাফল আমি মেনে নেব না, যাতে গাজা আবার হুমকিতে পরিণত হয়। এখনই শান্তির চুক্তি সম্পন্ন করার সময়।’
মার্কিন প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ওয়াশিংটনের নতুন মধ্যস্থতার প্রস্তাব ইজরায়েল ও হামাস উভয়ের কাছ থেকেই প্রাথমিক ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। এর ফলে যুদ্ধবিরতি এবং বাকি পণবন্দিদের মুক্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মিশরে সোমবার থেকে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।
তবে সবকিছু এখনও স্পষ্ট নয়। হামাস সম্পূর্ণ প্রস্তাবে সম্মত হবে কি না, কিংবা ইজরায়েলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ কীভাবে মেটানো হবে? তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা সমস্ত পণবন্দিদের মুক্তির ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি।’ যদিও নেতানিয়াহু আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, গাজা থেকে ইজরায়েলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার সম্ভব নয়। এদিকে গাজার স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, শনিবার ইজরায়েলি বিমান হামলায় আরও কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।