পরমাণু অস্ত্র বর্জন করতে নাকি সহমত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং রাশিয়া! এমনকী, এই মর্মে এই তিনটি দেশ চুক্তি সম্পাদন করতেও তৈরি হয়েছিল! সেই প্রচেষ্টা নাকি অনেকটাই এগিয়েছিল!
উপরোক্ত এই দাবিগুলি করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, তিনি যে চারবছর আমেরিকার শাসন ক্ষমতায় ছিলেন, সেই সময়েই এই চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছিল।
একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে এইসব দাবি করেছেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, এই মুহূর্তে জলবায়ুর পরিবর্তন মোটেও মানব সভ্য়তার সবথেকে বড় ভয়ের কারণ নয়। বরং, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে সবথেকে বড় ভয়ের কারণ হল, পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার ও তা ব্যবহারের আশঙ্কা।
এই প্রসঙ্গে আলোচনা চলাকালীনই সংশ্লিষ্ট চুক্তির কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কথায়, 'পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার ক্ষেত্রে আমরা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেটা হয়ে গেলে সব দেশের জন্যই ভালো হত।'
ট্রাম্পের আরও দাবি, বিষয়টি নিয়ে যেমন রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল, তেমনই অন্য়ান্য পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছিল।
ট্রাম্প বলেন, 'আমরা সম্পূর্ণভাবে পরমাণু হাতিয়ার পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ, তা অত্যন্ত শক্তিশালী, অত্যন্ত।'
ট্রাম্পের আরও দাবি, অস্ত্র সম্পর্কে তাঁর যতটুকু জ্ঞান রয়েছে, তার সবটাই তিনি পেয়েছেন তাঁর এক কাকার কাছ থেকে। যাঁর নাম,ড. জন ট্রাম্প।
ডোনাল্ডের দাবি, তাঁর কাকা জন সবথেকে বেশি দিন ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)-তে অধ্যাপনা করেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আপনি জানেন, আমার এক কাকা ছিলেন। এমআইটি-র ইতিহাসে তিনিই সবথেকে বেশি দিন অধ্যাপনা করেছেন। তাঁর নাম ডক্টর জন ট্রাম্প।'
এরপরই ওই আত্মীয়ের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প দাবি করেন তাঁদের শরীরে 'স্মার্ট জিন' রয়েছে। তাই তাঁরা সকলেই খুব 'স্মার্ট মানুষ'। ট্রাম্পের কথায়, 'আমাদের সকলেরই স্মার্ট জিন। তাই আমরা স্মার্ট মানুষ'।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে এই প্রথম পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশগুলিকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, তা নয়। গত সেপ্টেম্বর মাসেও তাঁর গলায় ছিল উদ্বেগের একই সুর।
মিশিগানে আয়োজিত একটি বিতর্ক সভায় ট্রাম্প সকলকে সতর্ক করেন। তিনি দাবি করেন, আমরা অতি দ্রুত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে চলেছি।
একইসঙ্গে, ওই বিতর্ক সভায় ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি যত দিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন, তত দিন মার্কিন প্রশাসন পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত সমস্যাগুলি অনেক ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারত।