কিছুদিন আগেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে 'বন্ধুত্বপূর্ণ' বার্তালাপ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এই দাবি ট্রাম্প নিজেই করেছেন।
এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে আমেরিকার রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প এও দাবি করেছিলেন যে তিনি একটি বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন। তা হল - তিনি চিনের সঙ্গে আমেরিকার একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করাতে পারবেন।
ফক্স নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, (শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বার্তালাপ প্রসঙ্গে), 'ব্যাপারটা সুন্দর ছিল। খুব ভালো ছিল। একটা বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা ছিল।'
ন্যায্য বাণিজ্যিক আদানপ্রদান নিয়ে কথা বলার সময় ট্রাম্প এই 'বন্ধুত্বপূর্ণ' বার্তালাপের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন। তাঁর দাবি, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলেন তিনি। এমনকী, এই প্রসঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্টকে 'উচ্চাভিলাষী' বলে সম্বোধন করেন তিনি।
আর সেই প্রসঙ্গে টেনেই পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসনে বসা ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করছেন, 'আমি এটা করতে পারব' (আমেরিকা-চিন বাণিজ্যিক চুক্তি)।
সমাজমাধ্যমে এ নিয়ে রীতিমতো আপডেটও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের টেলিফোনে কথা হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক বিষয়, এমনকী টিকটক নিয়েও আলোচনা করেছেন।
ট্রাম্প তাঁর সোশাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, 'আমরা বাণিজ্যিক ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা করেছি। ফেন্টানাইল, টিকটক-সহ আরও নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। বিশ্বকে আরও বেশি শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত করে তুলতে প্রেসিডেন্ট শি এবং আমি, যত দূর যা করা যায়, সেসবই করব।'
জানা গিয়েছে, ওই ফোনালাপ হয়েছিল গত শুক্রবার। অর্থাৎ, দ্বিতীয়বারের জন্য (৪৭তম) মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার ঠিক কিছুটা আগেই চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। অন্যদিকে শি জিনপিং জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী - ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আরও একবার নতুন করে একটা 'ভালো সূচনা' পাবে।
তিনি বলেন, 'আমি আশা করছি, আমরা একত্রে একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারব।'
অথচ, মার্কিন মসনদে ফেরার আগেই ট্রাম্প এমন একটি কথা বলেছেন, যা কার্যকর করা হলে তা চিনের জন্য মোটেও সুবিধাজনক হবে না। তিনি চিনা পণ্যের আমদানির উপর ১০ শতাংশ শাস্তিমূলক কর আরোপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কারণ, ট্রাম্পের বক্তব্য হল, চিন থেকে আমেরিকায় যে ফেন্টানাইল পাঠানো হয়, তা মেক্সিকো ও কানাডা হয়ে আসে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ফের প্রেসিডেন্ট পদে ফিরলেই চিনা পণ্যের উপর এই অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য করবেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তিনি তেমনটা করেননি। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি এবার চিনের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প?