ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তিতে রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পথে গাজায়। এদিকে আজই নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপকের নাম ঘোষণা করা হবে। সেই পুরস্কারে দীর্ঘদিন ধরেই নজর রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নোবেল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে নিজের পুরস্কার জেতা সম্ভাবনা খাটো করলেন ট্রাম্প। তবে তা সত্ত্বেও ফের একবার ট্রাম্পের গলায় 'ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি' সংক্রান্ত দাবি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে আপনি কী মনে করছেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'আমি জানি না'। তবে তিনি গতকাল দাবি করেন, তিনি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানে নতুন করে মিসাইল বিক্রি করবে না আমেরিকা, দাবি মার্কিন দূতাবাসের)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তিনি 'বাণিজ্য' ও 'শুল্ক' ব্যবহার করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনের সংঘাত বন্ধ করেছেন। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, ভারত ও পাকিস্তান (সংঘাত) অনেক বড় ছিল- দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। আমি বাণিজ্যের উপর ভিত্তি করে এবং শুল্ক ব্য়বহার করে এই সংঘাত বন্ধ করেছি। আমাদের যদি শুল্ক না থাকত, তাহলে আপনি তা করতে পারতেন না। আমি তাদের বলেছিলাম, আপনারা যদি লড়াই করতে চান তবে আমি আপনাদের প্রত্যেকের উপর ১০০ শতাংশ করে শুল্ক আরোপ করছি। তৎক্ষণাৎ ভাবে তারা লড়াই বন্ধ করে দেয়। এবং তাদের এই যুদ্ধ পারমাণবিক হতে চলেছিল। ইতিহাসে কেউই (পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে মধ্যস্থতা) করেনি...' এর আগে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে পাকিস্তান, ইজরায়েল সহ একাধিক দেশ। এরই মাঝে গাজা যুদ্ধ থামিয়ে নোবেলের দাবি আরও জোরালো করে হোয়াইট হাউস। গতকাল ট্রাম্পের ছবি দিয়ে 'শান্তির প্রেসিডেন্ট' লিখে একটি পোস্ট করেছিল হোয়াইট হাউস। তবে পুরস্কার ঘোষণার সময় যত ঘনিয়ে আসছে, এই বিষয়ে ততটাই আত্মবিশ্বাস যেন কমছে ট্রাম্পের।
প্রসঙ্গত, দু'বছর ধরে চলা সংঘাতে ইতি টানতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মিলে সম্প্রতি ২০ দফার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিকল্পনার অধীনে হামাসের হাতে বন্দি থাকা সকল মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। ভবিষ্যতে গাজায় কোনও ভূমিকা থাকবে না এই জঙ্গি গোষ্ঠীর। বিনিময়ে ইজরায়েল প্রায় ২ হাজার প্যালেস্তিনীয় বন্দিকে মুক্তি দেবে। আর তারা গাজা দখল করবে না। তবে একটি বাফার জোন তৈরি করা হবে গাজার চতুর্দিকে। জানা গিয়েছে, এই চুক্তি সই করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের হাতে আটক থাকা সকল বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইজরায়েলও প্যালেস্তিনীয় বন্দিদের ছেড়ে দেবে। হামাস এই চুক্তি মেনে নেওয়ার খবর সামনে আসতেই ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মোর সঙ্গেও ফোনে কথা হয় ট্রাম্পের।