দিওয়ালির সময়ই বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময়ও অবশ্য তিনি 'নির্বাচনী মোডে' ছিলেন। এই আবহে বাংবাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন এবং কমলাকে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই আবহে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এবার কি তবে হোয়াইট হাউজে গিয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবেন ট্রাম্প? আর এই নিয়ে বড় দাবি করলেন আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন। (আরও পড়ুন: 'তেলুগু' ঊষা পা রাখবেন কমলার ঠিকানায়, আনন্দে গদগদ অন্ধ্রের CM চন্দ্রবাবু, বললেন…)
আরও পড়ুন: আমেরিকায় কমলার হার, ট্রাম্পের জয়... কী বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর-সত্যরা?
ট্রাম্প ১.০ জমানায় একবছরের জন্যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলেছিলেন জন বল্টন। এহেন জন দাবি করেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে ট্রাম্প কোনওকালেই সেভাবে আগ্রহী ছিলেন না। তবে তিনি দাবি করেন, হয়ত এবারে কেউ ট্রাম্পকে এই বিষয়ে সরব হতে বলেছিলেন। আর সেই কথা শুনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ট্রাম্প। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জন বল্টন বলেন, 'বাংলাদেশ নিয়ে যে ট্রাম্প টুইট করেছেন, তা বেশ অবাক করে দেওয়ার মতো। বাংলাদেশ নিয়ে এর আগে তিনি খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। হয়তো কেউ তাঁকে এটি করার পরামর্শ দিয়েছে, তবে এই টুইটের জন্যে বিশেষ কোনও ব্যক্তির কথা উল্লেখ করতে পারব না। তিনি সত্যিই এই ইস্যুতে আগ্রহী কিনা এবং কিছু করার পরিকল্পনা করছেন কিনা, এই বিষয়টি দেখার জন্যে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না যে এই ইস্যুটি তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবে।' (আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধি রাজ্যের IAS-IPSদের, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কর্মীরা পাবেন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা)
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির রেখাকে কি 'মাল' বলে সম্বোধন ফিরহাদের? শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে
আরও পড়ুন: 'প্রতি মাসে ৯-১০ কোটি...', অবশেষে কালীপুজোর পর ডিএ বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে দিওয়ালি উপলক্ষে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেখানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে কমলা-বাইডেনকে তোপ দেগেছিলেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এই বিষয়ে ট্রাম্প লিখেছিলেন, 'অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে লুঠপাট চলছে। আমি এর তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমি ক্ষমতায় থাকলে, এমন কখনও হত না। কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন আমেরিকায় এবং বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গুরুত্ব দেননি। ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন, এমনকী আমাদের নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তেও বিপর্যয় ঘটিয়েছে। তবে আমরা ফের আমেরিকাকে শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমেই শান্তি ফিরিয়ে আনব। আমরা হিন্দু মার্কিন নাগরিকদেরও কট্টর বামপন্থীদের ধর্ম-বিরোধী অ্যাজেন্ডা থেকে রক্ষা করব। আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ব। আমার প্রশাসনের অধীনে ভারত ও আমার ভাল বন্ধু নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সুসম্পর্ক আরও মজবুত করব।'